নিয়োগ দুর্নীতির জালে টলিউড! জড়াচ্ছে বড় বড় নাম? চিন্তার মেঘ টলিপাড়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে টলি (Tollywood) যোগ। শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের (Ayan Shil) নাম সামনে আসার পর, টলিপাড়ায় জমছে চিন্তার মেঘ। সূত্রের খবর, টলিউডের খুবই জনপ্রিয় এক পরাচালকের একটি ছবিতে বিনিয়োগ করেছিলেন ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল। আর সেই ছবিতে কাজ করেছেন টলিউডের একের পর এক নাম করা অভিনেতা-অভিনেত্রী।

জানা গিয়েছে, সে ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় তারকারা। তবে ২০২১ সালের ছবিটির শুটিং শুরু হলেও সেই কাজ শেষ হয়নি। যারা ছবিতে কাজ করেছিলেন তারা এখনও তাদের পুরো পারিশ্রমিক পাননি বলেও খবর টলি অন্দরমহল সূত্রে।

একের অধিক ছবিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অয়ন বিনিয়োগ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে কী দুর্নীতির কালো টাকায় ভরেছে টলিউড? উঠছে প্রশ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টলি অভিনেতা জানান, “একটি বাংলা ছবিতে বিনিয়োগের পর হিন্দি ওয়েব সিরিজেও বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন অয়ন। বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন, এমনটা আলোচনা করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে আর কোনও পদক্ষেপ করেননি।”

ayan shil ed

নিয়োগ দুর্নীতর তদন্ত করতে গিয়েই সামনে উঠে আসছে একের পর এক তারকাদের নাম। দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তি, যাদের কালো টাকার কারবার রয়েছে, এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিগত কিছু বছরে কাজের সূত্রে আলাপ হয়েছে বহু টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। প্রসঙ্গত, শিক্ষক দুর্নীতিতে আরেক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সাথে কাজ করার জন্য সম্প্রতি নাম উঠেছিল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। সেই নিয়েও চৰ্চা কম হয়নি।

তবে যেহেতু পরিচালক সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শুধুমাত্র তাদের পারিশ্রমিক বাবদ টাকা নিয়েছেন, তাই তাদের অনেকেরই সমস্যায় পড়ার কোনো কারণ নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ইমপার অডিটের নথি প্রযোজক অয়নের কাছে কী করে পৌঁছলো তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও ইমপার তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তদন্ত এগলে আরও কোনো তারকার নাম কী উঠে আসবে এই মামলায়? সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর