বাংলাহান্ট ডেস্ক: এস এস রাজামৌলি (S S Rajamouli), নামটাই এখন যথেষ্ট। বলিউডের তাবড় পরিচালকদের দশ গোল দিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় পরিচালক হয়ে উঠেছেন তিনি। রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী’র হাত ধরেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জয়যাত্রা শুরু। আর এখন সারা বিশ্বে রাজত্ব করছে ভারতীয় সিনেমা।
রাজামৌলির ছবি মানেই ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। কম বাজেটে মন ওঠে না তাঁর। টাকা ঢেলে দুর্দান্ত ভিএফএক্স দিয়ে ছবি বানান তিনি। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের মুখ আপনা থেকেই হাঁ হয়ে যায়। তবে যা খরচ করেন তার দ্বিগুণ উসুল হয়ে যায় রাজামৌলির।
সবথেকে বড় উদাহরণ ‘বাহুবলী’, ‘বাহুবলী ২’ এবং সাম্প্রতিক ছবি ‘আর আর আর’। বাহুবলী দ্য বিগিনিং বক্স অফিসে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা তুলেছিল। দ্বিতীয় ছবিতে অঙ্কটা গিয়ে দাঁড়ায় আনুমানিক ১৮০০ কোটিতে। আর আর ও পেরিয়েছে ১০০০ কোটির গণ্ডি। প্রায় ১১৩০ কোটি টাকা তুলেছে ছবিটি।
বাণিজ্যের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে জনপ্রিয়তা। রাতারাতি গোটা দেশের ক্রাশ হয়ে উঠেছিলেন প্রভাস। রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআরের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনি হয়েছে। আর আর আর এর প্রচারের জন্য দক্ষিণ থেকে রাম চরণ ও এনটিআরের অনুরাগীদের আনা হয়েছিল তাঁদের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচারের জন্য সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন আলিয়া।
ছবি ১০০০ কোটি ছোঁয়ার পর আলিয়াকে প্রয়োজনই পড়েনি চরণ এনটিআরের। বলিউডের হেভিওয়েটরা নিজে এসে আলাপ করেছেন দুই সুপারস্টারের সঙ্গে। কিন্তু এই জনপ্রিয়তার একটা নেতিবাচক দিকও আছে, যেটা ইতিমধ্যেই দেখে নিয়েছেন প্রভাস।
আসলে রাজামৌলি ও তাঁর ছবিকে ঘিরে কিছু জনশ্রুতিও রয়েছে। পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করার পর আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু তারপর একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে থাকে অভিনেতাদের। উদাহরণ স্বরূপ বাহুবলীর পর ‘সাহো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রভাস।
শ্রদ্ধা কাপুর থাকা সত্ত্বেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল ছবিটি। তারপর ‘রাধে শ্যাম’ও চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। অন্যদিকে আর আর আর এর পরেই বাবা চিরঞ্জিবীর সঙ্গে ‘আচার্য’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাম চরণ। সেটিও একই রকম ভাবে ব্যর্থতার মুখ দেখেছে।
আদৌ কি এই মিথের বাস্তবতা রয়েছে? ফিল্ম বিশেষজ্ঞরা ব্যর্থতার কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন খাস রাজামৌলিকেই। আগেই বলেছি, রাজামৌলির ছবি মানেই ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। অমন স্কেলে ছবি বানানোর দক্ষতা খুব কম পরিচালকেরই রয়েছে। তাই রাজামৌলির ছবির অভিনেতাদের ওই রূপটাই লেগে যায় দর্শকদের চোখে। পরে তাঁদের অন্য ছবিতে দেখে হতাশ হন দর্শকরা। ব্যবসাও হয়না ছবির।