বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভাগ্য কখন কাকে কোন পরিস্থিতিতে এনে ফেলে তা কেউ বলতে পারে না। আজ যে রাজা দুদিন পরেই হয়তো সে ফকির। ভাগ্যের ফেরে অতুল ঐশ্বর্য নিমেষে শেষ হয়ে যায়। বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে পথে নামতে হয় রোজগারের জন্য। না, এ কোনো সিনেমার গল্প নয়। এ ঘটনা বাস্তবের।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য (Aishwarya)। নামের মাহাত্ম্য প্রমাণ করে কেরিয়ারে অনেক উঁচুতে উঠেছিলেন তিনি। বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু কপালের লিখন খন্ডাবে কে? আজ লাইমলাইট থেকে বহু দূরে ঐশ্বর্যর পরিচয়, তিনি একজন সাবান বিক্রেতা।
ফিল্মি পরিবারে জন্ম ঐশ্বর্যর। তাঁর মা লক্ষ্মীও ছিলেন একজন সফল অভিনেত্রী। একটি জাতীয় পুরস্কার এবং দশটি ফিল্মফেয়ার পু্রস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁরই মেয়ে ঐশ্বর্য। মায়ের থেকে অভিনয় প্রতিভা এসেছিল তাঁর মধ্যেও। তেলুগু ছবি ‘অদিভিলো অভিমন্যু’র হাত ধরে অভিনয়ে পা রেখেছিলেন ঐশ্বর্য।
তেলুগু, তামিল, কন্নড়, মালয়ালম ভাষায় ২০০ র থেকেও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। কিন্তু জনপ্রিয়তা চিরস্থায়ী নয়। কতকটা নিজের দোষেই নিজের দুর্ভোগ ডেকে এনেছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি যখন কেরিয়ারের শীর্ষে, ঠিক তখনি এক চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন অভিনেত্রী।
১৯৯৪ সালে তনভীর আহমেদকে বিয়ে করে অভিনয় জগৎকে বিদায় জানান ঐশ্বর্য। কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি। তিন বছর পরেই আলাদা হয়ে যান দুজনে। ততদিনে আর্থিক সঙ্কট শুরু হয়ে গিয়েছে ঐশ্বর্যর। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর্থিক পরিস্থিতি আরোই সঙ্গীন হয়ে ওঠে ঐশ্বর্যর।
বেকায়দায় পড়ে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু বড়পর্দা বা ছোটপর্দা কোথাওই সুযোগ পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে রোজগারের অন্য রাস্তা দেখেন ঐশ্বর্য। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তিনি। লাইমলাইট থেকে অনেক দূরে বাড়ি বাড়ি সাবান বিক্রি করার কাজ করছেন এখন ঐশ্বর্য।