বাংলা হান্ট ডেস্ক : সত্যজিৎ রায়ের টুনু অর্থাৎ দেবরাজের (Debraj Roy) মৃত্যুতে বাংলা বিনোদন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পুজো মিটতে না মিটতেই ১৭ অক্টোবর সল্টলেকের সি এল এস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রবীণ অভিনেতা (Debraj Roy)। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী দেবরাজ রায় (Debraj Roy) সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি একটা সময় মঞ্চে অভিনয়ও করেছেন।
দেবরাজ রায়ের (Debraj Roy) মৃত্যুতে অনুরাধা রায়ের প্রতিক্রিয়া
এছাড়াও দূরদর্শনের সংবাদ পাঠক থেকে শুরু করে শ্রুতিনাটক-ও করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বাংলা বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজস্ব ছাপ রেখে গিয়েছেন অভিনেতা। এদিন তাঁর মৃত্যুতে বিনোদন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অভিনেতার সহকর্মী থেকে শুরু করে অনুরাগীরা তো বটেই স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী অনুরাধা রায়ও (Anuradha Roy)।
অভিনয়ের সূত্রেই আলাপ হয়েছিল তাঁদের। দেবরাজ রায় অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। ১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেই সকলের নজরে এসেছিলেন অভিনেতা। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তাঁর ঝুলিতে এসেছে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ।
বিশেষ করে মৃণাল সেনের ‘ক্যালকাটা ৭১’ তাঁর অভিনয় ছিল দেখার মতো। এছাড়াও ‘মর্জিনা আব্দুল্লাহ’ সিনেমাতেও তাঁর অভিনয় আজও চোখে লেগে রয়েছে বাংলা সিনেমা প্রেমীদের। এমন একজন প্রতিভাবান অভিনেতার মৃত্যুতে কার্যত শোকোস্তব্ধ গোটা বাংলা সিনেমা জগৎ। জানা যাচ্ছে, বহুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন : ‘দিদি খালি গরুর মাংস…’, পুরনো বিতর্ক উস্কে দিল সুদীপার ভিডিও
তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী অনুরাধা রায় এদিন জানিয়েছেন একটা সময় উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও নাকি অভিনেতা নিজে থেকে ঘুরে বেড়াতে চাইতেন। অসুস্থ হওয়ার পরেও দিল্লি, আগ্রা, সিমলা, কুলু,মানালির মত বেশ কিছু লং ট্রিপ করেছেন তাঁরা দুজন। তবে এদিন আর শেষ রক্ষা হলো না। অনুরাধা দেবী জানিয়েছেন বিগত দু’মাসে পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এদিন আর শেষ রক্ষা হল না। তবে এদিন অনুরাধা দেবীর জানান বরাবরই ভীষণ চাপা স্বাভাবের ছিলেন দেবরাজ রায়। সম্প্রতি টলি টাইম নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দেবরাজ রায়ের আক্ষেপ ছিল তাঁর যতটা পরিচিতি পাওয়ার কথা ছিল সেটা তিনি পাননি। আর এই আক্ষেপ দেবরাজ রায়ের একার নয়, একই কথা মনে করেন অনুরাধা দেবীও। তিনিও মনে করেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী দেবরাজ রায় এত কিছু জানতেন যে তাঁর প্রাপ্য ছিল আরও অনেক কিছু, কিন্তু সেটা হয়নি।