বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো। তারপরেই বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। প্রত্যেক বছর আজকের দিনে ধুমধাম করে নিজের বাড়িতেই কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। কিন্তু এই বছরটা ব্যতিক্রমী। বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করলেও তাতে কোন আড়ম্বর থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী (Aparajita Adhya) নিজেই।
অপরাজিতা আঢ্যর (Aparajita Adhya) বাড়ির লক্ষ্মী পুজো
প্রত্যেক বছর কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর দিন অপরাজিতার (Aparajita Adhya) বাড়িতে বসে চাঁদের হাট। উপস্থিত থাকেন বিনোদন জগতের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে মিডিয়া জগতের অনেকে বন্ধু-বান্ধব। কিন্তু এবছর বাড়ির পুজো একেবারেই আড়ম্বরহীন ভাবে পালন করতে চলেছেন অভিনেত্রী।
আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সকালেই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অপরাজিতা। সেখানে দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মী প্রতিমাকে নিজের হাতে শাড়ি-গয়নায় সাজিয়ে তুলছেন অভিনেত্রী। বাড়ির অধিষ্ঠিত লক্ষী দেবীকে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়েছেন অপরাজিতা। মা লক্ষ্মীর মাথায় রয়েছে মুকুট,আর গা ভর্তি গয়না।
মায়ের সাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজে সাজেন না অপরাজিতা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর পরনে রয়েছে সাদার ওপর লাল-কালো প্রিন্টের শাড়ি। এদিন মায়ের পুজোর জন্য সকাল থেকেই ব্যস্ততা চরমে অভিনেত্রীর। লক্ষ্মী পুজোর আলপনা দেওয়ার পাশাপাশি নানা রকম ভোগ রান্না সবটাই একাহাতে সামলান অভিনেত্রী। যদিও তাঁর পাশেই থাকেন শ্বাশুড়ি মা।
আরও পড়ুন : উর্মি-সাত্যকি অতীত! আনন্দীর চরিত্রে ন্যাকা-ন্যাকা অভিনয়, অন্বেষাকে দেখে বিরক্ত দর্শক
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাজিতা যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরম যত্নে লক্ষ্মী প্রতিমাকে নিজের হাতে সাজিয়ে তোলার পর শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় মায়ের বিগ্রহকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেছেন অভিনেত্রী। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে মা লক্ষ্মী যেন অভিনেত্রীর নিজের মেয়ে! নিজের হাতে ধনদেবীকে সাজিয়ে কোলে টেনে নিলেন অপরাজিতা।
View this post on Instagram
কিন্তু এবছর আর লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় আর সেই আড়ম্বর নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে অপরাজিতা লিখেছিলেন, ‘সকলেই জানেন, বিশেষত আমার মিডিয়া বন্ধুরা খুব ভালো করেই জানেন যে কোজাগরী পুজোর এই বিশেষ দিনে আমি, অপরাজিতা, বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করি প্রতি বছরে। কিন্তু এই বছরটা উদযাপন থাকছে না। যে সময়ে রক্ত মাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা প্রতিনিয়ত, সেই সময়ে উপাসনা থাকলেও লক্ষ্মী দেবীর পুজো উদযাপন খানিকটা নিরর্থক। তাই অনেক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।’