বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের (tollywood) ছবি ও সিরিয়ালে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার এক অভিনেত্রী ও তাঁর সঙ্গী। সৃজিত মুখার্জির ছবি ও জনপ্রিয় চ্যানেলের ধারাবাহিকে অভিনয়ে সুযোগ করে দেওয়ার নামে জালিয়াতির ব্যবসার ফাঁদা হয়েছিল খাস কলকাতার বুকে। নদিয়ার এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিস।
গ্রেফতার দুজনের মধ্যে একজন হলেন অভিনেত্রী তথা আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য তিতাস ঘোষ। গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই তিতাসের সদস্যপদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গ্রেফতার হওয়া অপরজন হলেন, সুজয় ভুঁইয়া। চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরপরই পুলিসের জালে ফাঁসে এরা দুজন।
তিতাস ও সুজয় ছাড়াও সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, পারমিতা ভুঁঈয়া, শমীক স্যান্যাল ও সুশান্ত ভট্টাচার্য্যের নামে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই চারজন পলাতক বলে খবর পুলিস সূত্রে। চারু মার্কেটের আস্তানায় প্রায় তিন বছর ধরে এই জালিয়াতির কারবার চলছিল বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা সহ মফঃস্বল, গ্রামের তরুন তরুনীদের সিরিয়াল ও সৃজিত মুখার্জির ছবিতে সুযোগ করে দেওয়া দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতাতো এই জালিয়াতরা। অভিযোগকারী ব্যক্তির কাছ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিসের কাছে।
অভিযোগকারী নদিয়ার কল্যানীর বাসিন্দা সুপ্রভাত সরকার। সিরিয়াল ও ছবিতে অভিনয়ের শখ থাকায় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। তিতাস, সুজয়রা দাবি করেন তাঁকে প্রথম সারির চ্যানেলের বাংলা সিরিয়াল ও পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেই মতো ২৩ লক্ষ টাকাও নেয় তারা সুজিতের কাছ থেকে। পরিবর্তে দেয় কিছু ভুয়ো নথিপত্র।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তিতাস, সুজয় সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০ বি, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। পলাতকদের উদ্দেশে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।