বাংলা হান্ট ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) জোহানেসবার্গকে ‘ব্রিকস’ (BRICS Country’s) ভূক্ত দেশগুলির সম্মেলনে কার্যত চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত সংঘাত (India-China Clash) ঘিরে মোক্ষম জবাব দিলেন অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। উল্লেখ্য, এই আলোচনায় ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলির নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে কার্যত ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অজিত ডোভাল।
ব্রিকস সম্মেলনে কার্যত ভারত চিনকে বুঝিয়ে দিয়েছে, লাদাখ ঘিরে তাদের সংঘাত ও আগ্রাসী মনোভাব না-পসন্দ দিল্লির। আর তার জন্য সোজা কথা সোজাভাবেই বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এদিন বলেন, ‘২০২০ সালের পর থেকে ভারত ও চিনের সম্পর্ক অবক্ষয়ের দিকে গিয়েছে’ সংঘাত ঘিরে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ বৈঠকে অজিত ডোভাল জানিয়েছেন, ‘ভারত চিন সীমান্তের পশ্চিম দিকে এলএসিতে পরিস্থিতি ২০২০ সালের পর থেকে আস্থাকে, জন ও রাজনৈতিক ভিত্তিকে ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।’
এছাড়াও বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই বৈঠকে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন, যাতে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকে তার ওপর।’ এর হাত ধরে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথা বলেছেন। এছাড়াও দুই দেশের প্রতিনিধিরাও এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, চিন ও ভারতের সম্পর্কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়া শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়, তা এলাকার শান্তি ও শৃঙ্খলাকেও ধরে রাখবে বলে তাঁদের আশা।
এদিকে, চিনের তরফে ওয়াং ই বলেছেন,’ চিন ও ভারত একে অপরকে সমর্থন করবে বা পরম্পর পরম্পরকে ক্ষয় করে দেবে কিনা তা সরাসরি তাদের নিজ নিজ উন্নয়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক ল্যান্ডস্কেপকেও প্রভাবিত করবে।’ অজিত ডোভালের সঙ্গে ওয়াং ইর বৈঠকে, চিনের তরফে ভারতকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা দুই দেশের পক্ষেই উপকারি। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে যাতে পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থার সম্পর্ক থাকে, সেই দিকে নজর দিয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।