বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদানি গ্রুপের (Adani Group) উপর রীতিমতো আদা জল খেয়ে লেগেছিল হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research)। কিন্তু এত শিল্পপতি থাকতে হঠাৎ আদানি গ্রুপের দিকে কেন নজর পড়েছিল হিন্ডেনবার্গের? সংস্থা উঠে যাওয়ার পর এবার সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে আসল সত্যি জানিয়ে দিলেন হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন।
আদানি গ্রুপ (Adani Group) সম্পর্কিত তথ্য
শুধু তাই নয়, সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের পক্ষ থেকে গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল আদানি গ্রুপকে নিয়ে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, আদানি গ্রুপ নাকি নানান অফশোর সংস্থার মাধ্যমে কোম্পানির আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটা দেখিয়ে কার ছবি করে নিজেদের সংস্থার শেয়ার দল রীতিমত অতিরিক্ত বাড়িয়ে তুলেছিল।
আরোও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন অখিল! এবার ছেলের হুমকি, ‘রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেব’! জোর শোরগোল
এমন এক রিপোর্ট আসামাত্রই আদানি গ্রুপের (Adani Group) শেয়ারে ধস নেমে এসেছিল। সংস্থার শেয়ারের দর। এই ঝামেলা থাকে বেরোতে বহু কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে আদানি গ্রুপকে। কিন্তু এত সংস্থা থাকতে হঠাৎ করে কেন আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের স্ক্যানারে ছিল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠে বারবার। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়ার একটি সাক্ষাৎকারে নাথান অ্যান্ডারসন মুখ খোলেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা প্রাথমিক ভাবে নানা সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে দেখেছি বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে। সেই কারণেই বিষয়টিতে আমরা নজর দিই। শুধুমাত্র প্রমাণগুলিতে নজর রেখে গিয়েছি আমরা।” হিন্ডেনবার্গের আদানি গ্রুপকে নিয়ে তৈরি করা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের নাগরিক সহ রাজনীতিবিদদের কিছু অংশ দাবি করেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ওপর আঘাত হানার জন্যে এমন কাজ করেছে হিন্ডেনবার্গ।
আরোও পড়ুন : ‘দিদিকে বলো’–তে ফোন করেই কেল্লাফতে! একসাথে ৭৩ পরিবার পেল আবাসের টাকা
যদিও এমন দাবির কোনও সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন নাথান। তাঁর কথায়, “ভারতের ক্ষমতার প্রতি আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি। বাজারে স্বচ্ছতা থাকলে এবং কর্পোরেটের উপর সরকারি নজরদারি থাকলে তা ভারতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।” উল্লেখ্য, ভারতের রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল আদানি গ্রুপ (Adani Group) নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল বিষয়টা। সেবির তদন্তের ওপরেই শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
জর্জ সোরোসের সংস্থার সঙ্গে নাকি হিন্ডেনবার্গের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। হিন্ডেনবার্গ সোরোস ফাউন্ডেশনের থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই প্রসঙ্গে নাথান অ্যান্ডারসন বলেন, “এগুলো সামান্য কনস্পিরেসি থিওরি।” তাই এসব কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি হিন্ডেনবার্গ। নিজেদের রিপোর্ট ১০০ শতাংশ সত্যি বলে সাক্ষাৎকারে জানান হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন।