বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমেরিকান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্টের পর রীতিমতো জেরবার হয়ে গিয়েছে আদানি গ্রূপ (Adani Group)। শুধু তাই নয়, একের পর এক বড় ধাক্কায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এমনিতেই ওই গ্রূপের অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিগুলির শেয়ারেও বড়সড় পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, মোট সম্পদের পরিমান কমেছে গৌতম আদানিরও (Gautam Adani)। এদিকে, গত বুধবার আদানি গ্রূপ FPO সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, এবার ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে আদানি গ্রূপ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য চেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও, এই প্রসঙ্গে সরকারি তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ANI এই তথ্য জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, RBI-এর এহেন পদক্ষেপের জেরে কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে না এলেও FPO প্রত্যাহারের ঘটনার পরেই RBI এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে, আদানি গ্রূপের পক্ষে অবশ্য FPO প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয় যে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি, গৌতম আদানি জানিয়ে দেন, তাঁদের কাছে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থই সবথেকে অগ্রাধিকার পাবে। আর সেই আবহেই আদানি গ্রূপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি FPO বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও, তারপর আরও কমতে শুরু করে সংস্থার দর।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই বিষয়ে সরব হয়ে গত কয়েকদিনে একাধিকবার টুইট করেন। শুধু তাই নয়, আদানি বিতর্কে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদও। পাশাপাশি, মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই আদানির মোট সম্পত্তির পরিমান কমতে শুরু করে। এমনকি, তিনি বিশ্বের সেরা ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মোট সম্পদের নিরিখে আদানিকে হারিয়ে দিয়েছেন দেশের অন্য এক ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে আদানি ৭২.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের অধিকারী হয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনীদের তালিকায় রয়েছেন ত্রয়োদশ স্থানে। পাশাপাশি, আম্বানি ৮১.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়ে ওই তালিকায় রয়েছেন দ্বাদশ স্থানে।