বাংলাহান্ট ডেস্ক: মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আদানি গ্রুপ (Adani Group)। এ বার ধীরে ধীরে সেই রিপোর্টের প্রভাব কমতে দেখা যাচ্ছে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি ও আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল। ফলে ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। আদানি গ্রুপের উপর লগ্নিকারীদের ভরসা একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেই ভরসা ফেরাতে একের পর এক পদক্ষেপ করছে গ্রুপটি।
এর আগেও একবার সময়ের আগে ২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সময়ের আগে মিটিয়ে দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। যার মধ্যে আম্বুজা সিমেন্ট কেনার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারও ছিল। আগামী ৩১ মার্চ ওই ঋণ শোধ করার সময়সীমা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই ঋণ শোধ করে দিয়েছে আদানি গ্রুপ। এর আগেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে ঋণ শোধ করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে আদানি গ্রুপ।
ঋণের বোঝা কমাতে তারা আম্বুজা সিমেন্টে নিজেদের অংশীদারির ৪ থেকে ৫ শতাংশ বিক্রি করে দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই মুহূর্তে সিমেন্ট ব্যবসায় দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা হল আদানি গ্রুপ। ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে আম্বুজা সিমেন্ট এবং এসিসি সিমেন্টকে অধিগ্রহণ করেছিল আদানি গ্রুপ। তারপরেই তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট ব্যবসায়ী হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এর আগেও একটি বিবৃতি দিয়েছিল আদানি গ্রুপ। সেখানে তারা জানিয়েছিল যে ৭৩৭৪ কোটি টাকার ঋণ শোধ করা হয়েছে। সেই ঋণও সময়ের আগে শোধ করতে পেরেছিল তারা। আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ৪টি সংস্থার শেয়ার বন্ধক রেখে এই ঋণ তারা শোধ করেছিল। এ বার ঋণের পরিমাণ ২.১৫ বিলিয়ন ডলারে বাড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণও যোগ হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ তারা শোধ করছে।
যদিও কোন তহবিলের সাহায্যে এই ঋণ শোধ হচ্ছে, তা খোলসা করা হয়নি সংস্থার তরফে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টটি প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি। তারপর থেকেই আদানি গ্রুপের শেয়ারের ব্যাপক পতন হয়। প্রতিদিনই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে আদানি গ্রুপ। তবে দ্রুত সেই পরিস্থিতি তারা কাটিয়ে উঠছে। গত ১০ দিনে শক্তি বৃদ্ধি করেছে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলি। এর ফলে গৌতম আদানির (Gautam Adani) সম্পত্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকান ফার্ম জিকিউজি পার্টনারস আদানির চারটি সংস্থায় ১৫ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপর থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে শেয়ারের দাম।