বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিতর্কের পর আদানি গ্রুপের ব্যাপারে তেমন কোনও ভাল খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পড়তি শেয়ারের দাম, গৌতম আদানির (Gautam Adani) ধনী তালিকায় ক্রমশ নীচের দিকে নেমে যাওয়া, সব মিলিয়ে সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছিল না এই সংস্থার। তবে এ বার কিছুটা স্বস্তির খবর পাওয়া গেল তাদের থেকে। ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার একটি ঋণ তারা সময়ের আগেই মিটিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। সেখানে এই ঋণ মেটানোর ব্যপারে জানিয়েছে তারা। আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার একটি শেয়ার ভিত্তিক ঋণ সময়ের আগেই শোধ করে দিয়েছে তারা। আদানির ঋণ নিয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠেছিল, সেখানে এটি তাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি সুখবর। শেয়ারের দামের পতনের মাঝে আদানি গ্রুপ তাদের কৌশল বদলে ফেলেছিল।
বিপর্যয়ের মাঝে আরও তাড়াতাড়ি ঋণ শোধ এবং অর্থ সঞ্চয়ের দিকে জোর দিচ্ছিল সংস্থাটি। সংস্থার প্রবর্তকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যতটা সম্ভব ঋণ শোধ করে দেবেন তারা। মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ সেই প্রতিশ্রুতিরই একটি অংশ। আশা করা হচ্ছে, এর প্রভাব পড়তে পারে শেয়ার বাজারে। অতীতে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫০০ কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি গ্রুপ এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের উপর লগ্নিকারীদের আস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আদানি গ্রুপের মোট ঋণ ছিল ২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছিল। তবে তাদের রিপোর্টের উত্তরে ৪০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে আদানি গ্রুপ। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ফলে শেয়ার বাজারে বড়সড় ধাক্কা খায় আদানি গ্রুপ। শেয়ারের দামে এক মাস ধরে ক্রমাগত পতনের ফলে আদানি গ্রুপের বাজারে মূলধন ৬.৮২ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। তবে গত ৫টি ট্রেডিং সেশনে নিজেদের শেয়ার কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে কিছুটা। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ধনী তালিকায় তিনি রয়েছেন ২৪ তম স্থানে। তবে এক সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি।