বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে (Bangladesh) বাড়তি ছাড় বা কর ছাড় দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। ভারত (India) থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ (Electricity) সরবরাহ করা হলেও, বাড়তি সুবিধা আর দেওয়া হবে না ইউনূসের দেশকে (Mohammad Yunus)।
আঁধার নামবে বাংলাদেশে (Bangladesh)?
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন আদানি পাওয়ারের তরফে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদ্যুতের ছাড় সংক্রান্ত অনুরোধ একেবারে খারিজ করে দিয়েছে। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে। চুক্তি অনুযায়ী, আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করে থাকে বাংলাদেশে।
আরোও অনেক : বাংলাদেশ “বিতর্ক” এবার পরীক্ষার খাতায়! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নকে ঘিরে শুরু তোলপাড়
তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে আনে প্রায় অর্ধেকে। বিদ্যুতের খরচ বাবদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে আদানি পাওয়ারের। বিপুল পরিমাণ বকেয়া ও শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদার হ্রাসের কারণ দেখিয়ে ইউনূস সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরোও অনেক : ভেঙে পড়েছে লেডিস টয়লেট, নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম! কঙ্কালসার স্কুল নিজের টাকায় সাজাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক
তারপর আদানি গ্রুপ গোড্ডায় একটি ইউনিট সক্রিয় রেখে দেয় নভেম্বর মাস থেকে। তবে আসন্ন গ্রীষ্মের মরশুমে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ফের আদানি পাওয়ারের শরণাপন্ন হয় ঢাকা। তারসাথে অনুরোধ করা হয় বাড়তি কর ছাড় ও বকেয়া অর্থে ছাড়ের ব্যাপারে। বিদ্যুতের বিপুল বকেয়া মেটানোর জন্য একাধিকবার বাংলাদেশকে চিঠি পাঠিয়েছে আদানি গ্রুপ।
তবে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) (Bangladesh Power Development Board) সেই অনুরোধ খারিজ করে জানায়, ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী আদানি পাওয়ার ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশকে (Bangladesh)।
গত অক্টোবরে বিপিডিবিকে পাঠানো চিঠিতে আদানি পাওয়ার জানায়, বকেয়া অর্থ না মেটালে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বন্ধ করে দেওয়া হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অতিরিক্ত ছাড়ের ব্যাপারে আদানি পাওয়ারের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অনুরোধ জানিয়েছিল বিপিডিবি। তবে বাংলাদেশের সেই অনুরোধে একদম আমল দিতে নারাজ আদানি কর্তারা।