বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বিতর্কের পর থেকেই নিম্নমুখী হয়েছে আদানি গ্রুপের (Adani Group) শেয়ারের দাম। একইসঙ্গে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিরও (Gautam Adani) মোট সম্পত্তি কমেছে অনেকটাই। এক সময়ের বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি আজ তিরিশ তম স্থানে। তাঁর মোট সম্পত্তি ১২০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে হয়েছে ৩৯.৯ বিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গ্রুপ।
আগামী মার্চের মধ্যেই ৬৯০ মিলিয়ন থেকে ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ শোধ করে দেবে। সূত্রের খবর, আদানি গ্রিন এনার্জি ২০২৪ সালের বন্ডগুলিকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ও তিন বছরের ক্রেডিট লাইনের মাধ্যমে পুনঃঅর্থায়নের পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার হংকংয়ে আদানি গ্রুপের বন্ড ধারকদের কাছে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সংস্থা।
উল্লেখ্য, আদানির এই সংস্থা মূল্য নির্ধারণের পর গ্রুপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। যদিও আদানি গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার যুগেশিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ঋণের পুনঃঅর্থায়ন করতে চাইছেন না তাঁরা। এমনকী, নতুন করে মূলধনও ঢালতে চাইছেন না তাঁরা। কিন্তু ঋণ শোধ করা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি আদানি গ্রুপের তরফে।
সম্প্রতি দাবি করা হয়েছিল, আদানি গ্রুপ নাকি অস্ট্রেলিয়ার কোনও একটি সম্পদের শেয়ারের পরিবর্তে আরও ঋণ নিতে পারে। তবে সংস্থার তরফে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সব ক’টিতেই দাবি করা হয়েছে যে আদানি গ্রুপ এখন তাদের ঋণ কম করতে চাইছে। বাজারে বেশি ঋণ থাকা লগ্নিকারীদের কাছে সবচেয়ে চিন্তার বিষয়।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর কার্যত ধস নেমেছিল আদানির শেয়ারে। তাদের বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়ানো, অর্থপাচার সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিল ওই মার্কিন সংস্থা। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর শেয়ার বাজারে ধস নেমে যায়। দ্রুত পড়তে থাকে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেয় আদানি গ্রুপ। কিন্তু সেই থেকে আজ অবধি ১২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের। সেজন্য ক্রমশ নিজেদের ঋণের বোঝা কম করছে আদানি গ্রুপ।