বাংলাহান্ট: একে পশ্চিমবাংলায় নতুন শিল্পের হাহাকার, তার উপর বাতিল হল আদানি টোটাল প্রাইভেট লিমিটেডের পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা। শোনা যাচ্ছে, হীরানান্দানি গোষ্ঠীর আপত্তিতে বাতিল হল পরিকল্পনা। মোটামুটি সমস্ত রকম কাজই হয়ে এসেছিল। বিষয়টা প্রায় পাকাপাকি ভাবে কেবল স্থানগ্রহণ করাটাই বাকি ছিল। সব ঠিকঠাক থাকলে বাংলায় শীঘ্রই প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন তৈরির কাজে নামত আদানি প্রাইভেট লিমিটেড। কিন্তু আপাতত তা আর হচ্ছে না।
আদানি টোটাল প্রাইভেট লিমিটেডের তরফ থেকে গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। হলদিয়া থেকে বসিরহাটের পানিতার পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল এই গ্যাস পাইপলাইনের। অর্থাৎ জেলার ভিত্তিতে দেখতে গেলে এই পাইপলাইন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর থেকে শুরু করে উত্তর চব্বিশ পরগণা পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা হয়েছিল।
এর পাশাপাশি, যেহেতু এই পাইপলাইন বসিরহাট জেলার উপর দিয়েই তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তাই এটি বাংলাদেশ বর্ডারের খুব কাছে হবে, এমনটাই ধারণা করা যাচ্ছিল। এমনি যাঁরা এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ভেবেছিলেন, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গেও বিষয়টিকে সংযুক্ত করার। ওই পাইপলাইনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জনঘনত্ব বিশিষ্ট এলাকা যেমন কলকাতা থেকে দমদমের মত জায়গায় গ্যাস সাপ্লাই করার। কিন্তু সেই প্রকল্পে এবার জল ঢালল হীরানন্দানি গোষ্ঠী।
হীরানন্দানি গোষ্ঠী নাকি খুব স্পষ্ট ভাবে নাকচ করেছে আদানি টোটাল প্রাইভেট লিমিটেড এর ওই প্রোজেক্ট। কিন্তু, কেন সেই আপত্তি? হীরানান্দানি গোষ্ঠী বর্তমানে রাজ্যে একইরকম একটি পরিকল্পনা করছে গ্যাস পাইপলাইনের। কী সেই পরিকপ্পনা? হীরানান্দানি গোষ্ঠী বর্তমানে কানাইচট্ট থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত একটি গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা করছে। কাজও এগোচ্ছে ঠিকমত।
এখন আদানিদের ওই পাইপলাইনের কাজ শুরু হলে তা সরাসরিভাবে হীরানান্দানি গোষ্ঠীর অন্তর্গত এইচ-ইন্টারেস্ট কাজের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের জায়গায় নিয়ে যাবে। ঠিক সেই কারণেই আদানি টোটাল প্রাইভেট লিমিটেডকে বাতিল করতে হল তাদের প্রকল্প। সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিশ্ব-বাণিজ্য বঙ্গ সম্মেলনে গৌতম আদানি রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার আগে এই গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হলে তা রাজ্যের জন্যে বেশ গুরুতপূর্ণ হত।