বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার লোকসভা অবধি গড়াল রাজ্যের পুরভোটের জল। লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরও তাঁকে কোনও কাজই করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার, এমনটাই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি লিখে সমস্ত ব্যাপারটি জানান অধীর।
স্পিকারকে লেখা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই চিঠিতে বারবার উঠে এসেছে বাংলার ১০৮ টি পুরসভায় ভোটের কথাই। সাংসদ চিঠিতে দাবি করেছেন পুরভোটে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁর দলের কর্মীদের। তিনি আরও জানিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে বাধা দিচ্ছে সরকার। মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। এই পুরো ব্যাপারটিতেই স্পিকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত মূলত রবিবার। রাজ্যে পুরভোটের দিন অধীর চৌধুরী অভিযোগ জানান যে তৃণমূল হুমকি দিচ্ছে কংগ্রেসের প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টদের। তঁদের রিভলভার নিয়ে তাড়া অবধি করছে তৃণমূল কর্মীরা। সেদিন প্রার্থীদের কাছ থেকে ফোনে সমস্ত বিষয়টি জানতে পারেন অধীর চৌধুরী। তারপর বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজের গাড়িতে এজেন্টদের বুথে পৌঁছে দেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ এই অভিযোগও আনেন যেবেক প্রার্থীকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেয় তৃণমূল। যদিই শেষ অবধি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেননি তিনি। স্পিকারকে পুরো ব্যাপারটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখার আবেদনও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তবে রবিবার সারাদিন বুথে বুথে ঘোরার পর যে সোমবারই সটান স্পিকারকে নালিশ ঠুকবেন অধীর তা ভাবতে পারেনি রাজ্যের ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, রবিবার পুরভোটে একাধিক কেন্দ্রে ছাপ্পা এবং বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোথাও কোথাও চলে গোলাগুলিও। এহেন অবস্থায় পুনর্নির্বাচনের আবেদন করে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। তবে সোমবারই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ১১ হাজার ২৮০ টি বুথের মধ্যে পুনরায় ভোট গ্রহণ হবে মাত্র ২ টি বুথে। শ্রীরামপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথে এবং দমদম দক্ষিণের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের চার নম্বর বুথে হবে আবার ভোটগ্রহণ।