বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উন্নয়নের মহাযজ্ঞে যোগ দিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। দাদা দল ছেড়ে দেওয়ার পর বোন শর্মিষ্ঠা গতকালই নিজের প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি শুধু টুইটারে ‘স্যাড” লিখে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। আর এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এই নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন।
বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কিছু বলার নেই। যিনি দলবদল করেছেন, তিনিই এই নিয়ে বলতে পারবেন।” অভিজিৎবাবুর দলবদল প্রসঙ্গে অধীরবাবুর নীরব থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন জাগছে। কিছুদিন আগেই তিনি ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, এখন আবার দলের প্রভাবশালী নেতার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে নীরব। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, তিনি কি তাহলে তৃণমূলের কাছে স্যারেন্ডার করে দিলেন?
উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানে প্রণবপুত্র। ওনার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
একসময় বাংলায় শাসন করা কংগ্রেস এখন শূন্য। শুধু বাংলায় না, গোটা দেশেই কংগ্রেসের প্রভাব কমেই চলেছে। কমবেশি ৬০ বছর দেশে শাসন করা কংগ্রেস এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। একের পর এক যুব নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন। দল বাঁচানোর জন্য বৈঠক করেও সেই ভাঙন রোখা যাচ্ছে না। আর এই দুঃসময়ে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে প্রণবপুত্র জানান, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। অভিজিৎবাবু বলেন, মূল থেকে তৃণে এলেও এখনও কংগ্রেসেই আছি। জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ-নির্বাচনে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে টিকিটও দিতে পারে তৃণমূল। তবে সময়ের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।