বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের মধ্যে সবকিছু ঠিক চলছে না। রাজ্যে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করেছে ঠিকই, কিন্তু ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর কারণে এখনে জোটে ব্যাকফুটে অধীর চৌধুরীর দল। একদিকে বামেরা ISF এর জঙ্গে জোট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, আরেকদিকে অধীরবাবু ISF এর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বোঝাপড়া করে উঠতেই পারেন নি। আর এই কারণে গতকাল ব্রিগেড থেকে আব্বাস সিদ্দিকী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সামনেই কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন।
আইএসএফ-এর সঙ্গে কংগ্রেসের যা চলছিল চলছিল। এবার আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকীকে নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই ফাটল দেখা গেল। কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মা বাম-কংগ্রেসের জোটে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদাকে যুক্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস সিলেকটিভ হতে পারে না। সাম্প্রদায়িকতার প্রতিটি রুপের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। ব্রিগেডে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর উপস্থিতি ও সমর্থন লজ্জাজনক। ওনাকে এই নিয়ে কৈফিয়ত দিতে হবে।”
सांप्रदायिकता के खिलाफ लड़ाई में कांग्रेस चयनात्मक नहीं हो सकती है। हमें हर सांप्रदायिकता के हर रूप से लड़ना है। पश्चिम बंगाल प्रदेश कांग्रेस अध्यक्ष की उपस्थिति और समर्थन शर्मनाक है, उन्हें अपना पक्ष स्पष्ट करना चाहिए।
— Anand Sharma (@AnandSharmaINC) March 1, 2021
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা লেখেন, ‘ISF আর এরকম অন্য দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মূল বিচারধারা, গান্ধীবাদ, নেহরুবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। এগুলো সব কংগ্রেস পার্টির আত্মা। আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করা নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হওয়া দরকার ছিল।”
Congress’ alliance with parties like ISF and other such forces militates against the core ideology of the party and Gandhian and Nehruvian secularism, which forms the soul of the party. These issues need to be approved by the CWC.
— Anand Sharma (@AnandSharmaINC) March 1, 2021
যদিও, আনন্দ শর্মার এই মন্তব্যের পর অধীর চৌধুরীও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি শুধু কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। যতক্ষণ না উপর থেকে কোনও নির্দেশ মেলে তখন কোনও সিদ্ধান্তই আমি নিজে থেকে নিইনা। অধীরবাবু এও বলেছেন যে, আনন্দ শর্মা কে? আমি ওনার কথার জবাব দিতে যাব কেন? অধীরবাবু বলেন, ISF এর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমি হাইকম্যান্ডের মত নিয়ে যা করার করছি। কিন্তু কংগ্রেসের কিছু নেতা এখন দলের অন্দরে থেকে দলের ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এদের চিনে রাখছে মানুষ।