বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একজোটে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। অধীরের কথায়, ‘মমতা দিদি এমন কিছু করবেন না যাতে মোদী রেগে যান’। শুধু তাই নয়, মমতা-মোদীর বোঝাপড়াকে ‘মো-মো’ বলেও কটাক্ষ করেন তিঁনি। উত্তরবঙ্গ থেকে এদিন ঠিক এই সুরেই দুই নেতৃত্বকে একজোটে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা। তবে কেন হঠাৎ এহেন খোঁচা অধীরের?
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো (Bharat Jodo) যাত্রায় অংশ নিতে শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে সরব কংগ্রেস নেতা। অধীরের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চটাতে চান না বলেই কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় ‘না’ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অধীরের নেতৃত্বে এদিন শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শুরু হয় ভারত জোড়ো যাত্রা। এরপর সেই পদযাত্রা সেখান থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মাটিগাড়ার মায়াদেবী ক্লাব মাঠে এসে পৌঁছায়। বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তির ঠিক একদিন আগে ফের অধীরের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীকে চটাতে চান না বলেও আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও তাতে যোগ দেননি মমতা।
এদিন প্রকাশ্যে, অধীর দাবি করেন, মোদীর সঙ্গে মমতার বোঝাপড়া হয়েছে বলেই তিঁনি ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তাঁদের বোঝাপড়াকে মো-মো বলে আখ্যা দিয়ে অধীর বলেন, মোদীজি যখন বলেন কংগ্রেসমুক্ত ভারত, তখন মমতাও বলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে সরানো উচিৎ।
উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রায় মোট ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে জেডিইউ, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, তেলেগু দেশম পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকে, সিপিএম, সিপিআই, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, পিডিপি, এনপিপি, এমডিএমকে-সহ মোট ২২টি দল।