বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা ২৫ বছরের সাংসদ। তবে এবার আর জিততে পারেনি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরে ঘাসফুল ফুটিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। এবার এই নিয়ে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা। TMC সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে এনেছেন চক্রান্তের অভিযোগ!
গত ১ মে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের TMC বিধায়ক হুমায়ুন কবীর শক্তিপুর এলাকায় বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার সেই মন্তব্যগুলিকেই হাতিয়ার করে মমতাকে নিশানা করেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। বহরমপুরের (Baharampur) সদ্য প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘রামনবমীর দিন থেকে আমায় হারানোর চক্রান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই বহরমপুরে আমায় পরাজিত হতে হয়েছে’।
অধীরের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। TMC নেতা বলেন, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! কাজ করেননি বলে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেটা মানতে না পেরে এখন উল্টোপাল্টা বলছেন’।
আরও পড়ুনঃ বেআইনি বহুতল ভেঙে একাধিক মৃত্যু! গার্ডেনরিচের ওই ওয়ার্ডে কেমন ফলাফল করেছে তৃণমূল?
গত মঙ্গলবার ২০২৪ লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অধীরের ‘গড়ে’ তাঁকে পরাজিত করেছেন ইউসুফ। TMC প্রার্থীর কাছে ৮৫,২৮৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। এরপরেই খানিক আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে। আমি হিন্দু, মুসলিন কোনটাই হতে পারিনি। সেই জন্য দুইয়ের মধ্যে পড়ে স্যান্ডউইচ হয়েছি’।
অন্যদিকে বহরমপুরে জয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতাও। TMC-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে বলেছিলেন, ‘অধীর নিজের ঔদ্ধত্যের জন্য পরাজিত হয়েছেন। আসলে ওনাকে নয়, বহরপুরের মানুষ BJP-কে পরাজিত করেছেন। কারণ কংগ্রেস নয়, BJP-র জন্য কাজ করেছেন অধীর। বহরমপুরে জায়ান্ট কিলার ইউসুফ পাঠান’।
উল্লেখ্য, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বহরমপুরের একাংশ। দরকার পড়লে সেখানে ভোট পিছনোর কথাও বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও শেষমেষ ভোট পিছোয়নি। নির্ধারিত দিনেই ভোট হয়েছিল সেখানে। ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, এবার আর এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে যাওয়া হচ্ছে না অধীরের।