বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য খবরের শিরোনামে থাকা কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) আরো একবার মাঠে নেমে পড়েছেন। একই সাথে প্রায় প্রতিদিন নিত্য নতুন বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন। আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারী মামলায় সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে (P. Chidambaram) সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম সুপ্রিম কোর্টের জামিন পাওয়ার পর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজনৈতিক আক্রমন শুরু করেছেন। সরকারের তীব্র সমালোচনা করতো বলে মোদী সরকার পি চিদাম্বরমের সাথে আতঙ্কবাদীর মতো ব্যাবহার করেছে। কেন্দ্র সরকার প্রতিশোধের রাজনীতি করে বলে অভিযোগ তুলেছন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
CBI যেভাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল তার উপরেও প্রশ্নঃ উঠেছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বুধবার মোদী সরকারের উপর আক্রমন করে বলেন, সরকার চিদাম্বরমের সাথে আতঙ্কবাদীর মতো ব্যাবহার করেছে। CBI এমনভাবে চিদাম্বরম এর বাড়িতেও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যেন লাদেন লুকিয়ে আছে। অধীর রঞ্জন বলেন, CBI এর দ্বারা গ্রেফতারি এমন হয়েছিল যেন ওই বাড়িতে লাদেন বা লাদের আত্মীয় থাকে।
জানিয়ে দি, ১০৬ দিন তিহাড় জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্ট চিদাম্বরমকে বিশেষ কিছু শর্ত অনুযায়ী জামিন দিয়েছে। শর্ত গুলির মধ্যে হলো চিদাম্বরম দেশ ছাড়তে পারবে না, সংবাদ মাধ্যমের কাছে ইন্টারভিউ দিতে পারবে না, এই মামলার সাথে জড়িত কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবে না। এমন অবস্থায় চিদাম্বরম এর জামিন হওয়ার পরেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন করতে শুরু করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, লাগাতার বেশকিছু ধরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন। কয়েকদিন আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুপ্রবেশকারী বলেছিলেন। এরপর নির্মলা সীতারমনকে বলেছিলেন আপনার নাম নির্মলা না হয়ে নির্বলা হওয়া উচিত ছিল। নাম এমন জঘন্য কটাক্ষ করায় সংসদ ভবন ও সংসদ ভবনের বাইরে হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। যার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী ক্ষমা চেয়ে নেন।