বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল নিয়ে চর্চার সময় অযৌক্তিক মন্তব্য করে চরম ফেঁসে যান সংসদীয় দলের নেতা তথা কংগ্রেসের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর চৌধুরী জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে অমিত শাহ কে প্রশ্ন করার সময় অযৌক্তিক কথা বলেন, আর সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ওনাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। অমিত শাহ বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস তাঁদের চিন্তাভাবনা পরিস্কার করুক। কংগ্রেস কি এটাই চায় যে, জম্মু কাশ্মীর ইস্যু সংযুক্ত রাষ্ট্র মনিটর করুক?”
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আপনি বলেছেন যে এটা অভ্যন্তরীণ মামলা। কিন্তু এই ইস্যু ১৯৪৮ সাল থেকে সংযুক্ত রাষ্ট্র দেখছে। তাহলে এটা কি করে অভ্যন্তরীণ ইস্যু হয়? আমরা শিমলা সমঝোতা আর লাহোর ঘোষণাতে স্বাক্ষর করেছিলাম। তাহলে এটা অভ্যন্তরীণ ইস্যু? না দ্বিপাক্ষিক? বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর কিছু দিন আগেই আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিয়ো কে বলেছিলেন যে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। আর এই কারণে তিনি আমেরিকাকে এর মধ্যে না গলাতে না করেছিলেন। তাহলে এবার জম্মু কাশ্মীর অভ্যন্তরীণ মামলা হল কি করে? আমরা সবাই এটা জানতে চাই।”
অধীর চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অংশ। কাশ্মীরের সীমান্তে PoK ও আসে। আমরা কাশ্মীর আর PoK এর জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। আমি সংসদে যখন যখন জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্য বলেছি, তখন তখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আর আকসাই চীনকে কাশ্মীরের অংশ বলেই স্বীকৃতি দিয়েছি। সংসদে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে আইন বানানোর অধিকার আছে। কেউ আমাদের আইন আনার থেকে আটকাতে পারবে না।”
#WATCH Adhir Ranjan Chowdhury, Congress, in Lok Sabha: You say that it is an internal matter. But it is being monitored since 1948 by the UN, is that an internal matter? We signed Shimla Agreement & Lahore Declaration, what that an internal matter or bilateral? pic.twitter.com/RNyUFTPzca
— ANI (@ANI) August 6, 2019
যখন অধীর রঞ্জন চৌধুরী জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এমন অযৌক্তিক মন্তব্য করছিলেন, তখন ইউপিএ চেয়ারপার্সন তথা কংগ্রেসের সাংসদ সোনিয়া গান্ধী ওনার পাশেই বসেছিলেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এহেন অযৌক্তিক মন্তব্য শুনে অবাক হয়ে যান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। সুত্র অনুযায়ী, অধীর রঞ্জন চৌধুরী যেমন ভাবে লোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন, সেটা দেখে বেজায় চটে গেছেন সোনিয়া গান্ধী।