‘আদিনা মসজিদের তলাতেই আদিনাথ মন্দির’, স্বীকারোক্তি সরকারের! বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপি নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ থেকে প্রায় ৩১ বছর আগে সাল ১৯৯২ এর ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ (Babri Masjid)। কথিত আছে হনুমানগড়ির পাশের ওই জমি ‘রামলালার জন্মস্থান’ বলে চিহ্নিত ছিল। সেখানে থাকা রামলালার মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। তিন দশক আগে সেই জমিকে পুনরুদ্ধার করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) রিপোর্টেও মসজিদের তলায় দশম শতকে অ-ইসলামিক স্থাপত্যের কথা উল্লেখ করা আছে বলেই শোনা যায়। যদিও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন তা মেনে নিতে রাজি নয়। তারা বিরোধীতা করেছিল বটেই, সেই সাথে সুপ্রিম কোর্টেরও (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। যদিও সমস্ত তথ্য প্রমাণের পর দেশের সর্বোচ্চ আদালতও মেনে নিয়েছিল যে এই জমি হিন্দুদেরই প্রাপ্য।

তবে সেই সাথে শীর্ষ আদালত ক্ষতিপূরণ বাবদ ওয়াকফ বোর্ডের হাতে পাঁচ একর জমি তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল। এসবের মধ্যেই বড়সড় দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari)। সম্প্রতি তিনি তার এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেছেন যা দেখে রীতিমত হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।

image 1653567493

এইদিন তরুণজ্যোতি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, ‘মালদার গাজলে অবস্থিত আদিনা মসজিদ (Adina Masjid) আসলে আদিনাথ মন্দিরের (Adinath Mandir) উপর নির্মিত। সরকারের উচিত এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা। এই ঐতিহাসিক ভুলকে ঠিক করা সরকারেরই দায়িত্ব।’ সেই সাথে নিজের পোস্টে দুটি ছবি জুড়ে দিয়ে তিনি লেখেন, ‘এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো স্বীকারও করেছিল যে, মসজিদটি হিন্দু মন্দিরের উপরেই নির্মাণ করা হয়েছে।’

800px motif of ganesha and dancing female figure at adina masjid in malda district

বিজেপি নেতার এই পোস্ট সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। যদিও কেবল তরুণজ্যোতি তিওয়ারিই নয়, রাজ্যের বহু ইতিহাসবিদই দাবি করেছেন যে, আদিনা মসজিদ আসলে আদিনাথ মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের গায়ে ভগবান গণেশ সহ বহু দেবদেবীর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। এখন অযোধ্যার মত বাংলাতেও কখনও আদিনাথ মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে কি না তা তো সময়ই বলবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর