বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে (aditya thackeray) ও শিবসেনা (shiv sena) নেতা সঞ্জয় রাউতের (sanjay raut) নারকো টেস্ট করা হোক, এমনই দাবি তুলল বিজেপি (bjp)। পাশাপাশি আদিত্য ঠাকরে ও সঞ্জয় রাউতকে সিবিআইএর (CBI) জেরাও করা উচিত বলে মত বিজেপির।
বিজেপি নেতা নিখিল আনন্দের অভিযোগ, সুশান্ত মামলায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’তে সঞ্জয় রাউতের লেখা নিয়েও সরব হন বিজেপি নেতা। এই লেখার মাধ্যমে সুশান্তের অনুরাগী, বিহার সরকার ও বিহার পুলিসকে সঞ্জয় রাউত অপমান করেছেন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শিবসেনার নেতারা সিবিআই জেরার সম্মুখীন হচ্ছেন না কারন তারা ভয় পেয়ে আছেন।
শুধু শিবসেনা নয়, এনসিপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও তোপ দেগে নিখিল আনন্দের প্রশ্ন, শুধুমাত্র আদিত্য ঠাকরেকে কেন সওয়াল করা হচ্ছে, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাড্রাও এই মামলায় মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। তাঁদেরও সরব হওয়া উচিত।
#सुशांत_सिंह_राजपूत मामले में @LJP4India ने पटना में भैंस पर चढ़ कर प्रदर्शन किया, बिहार पुलिस की तारीफ़ की, महाराष्ट्र सरकार को चेतावनी दी कि अगर सुशांत मामले में न्याय नहीं हुआ तो आंदोलन उग्र होगा। उद्धव ठाकरे, आदित्य ठाकरे, संजय राउत और रिया चक्रवर्ती के खिलाफ प्रदर्शन। pic.twitter.com/hcsbG7SPEB
— Prakash Kumar (@kumarprakash4u) August 10, 2020
প্রসঙ্গত, সুশান্ত মামলা নিয়ে বিহার ও দিল্লি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানায় শিবসেনা। সুশান্তের আবেগটাকে রাজনেতিক স্বার্থ হিসাবে ব্যবহার করছেন বিহারের নীতিশ কুমার সরকার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এটাই তাঁর ব্রহ্মাস্ত্র বলেও কটাক্ষ করে শিবসেনা। পাশাপাশি তারা সাফ জানায় বিহার নয়, সুশান্তকে তৈরি করেছে মুম্বইই।
সুশান্তের মৃত্যুর পর বিহার পুলিসের তরফে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’ তে নীতিশ কুমার সরকারকে একহাত নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘সুশান্ত সিং মামলার বিষয়ে বিহার পুলিসের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। গত কয়েক বছর ধরে সুশান্ত ছিল মুম্বইয়ের বাসিন্দা। মুম্বই গৌরবান্বিত করেছিল সুশান্তকে, বিহার নয়।’
এই প্রসঙ্গে দিল্লিকেও আক্রমণ করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর বক্তব্য, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে বিহারের পাশাপাশি দিল্লিতেও রাজনীতি হচ্ছে। এসবই মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।