বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে এসেছেন তিনি অনেকদিন হল। নিজের দেশ ছেড়ে আপন করে নিয়েছেন ভারতীয় নাগরিকত্ব। এ নিয়ে কম কটাক্ষ সইতে হয় না গায়ক আদনান সামিকে (Adnan Sami)। পাকিস্তানি নেটনাগরিকরা সুযোগ পেলেই খোঁচা মারেন তাঁকে। পালটা পাক সরকারের আসল রূপ ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন আদনান। কিন্তু এবার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
গায়কের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর ভাই জুনেইদ সামি খান। আদনান নাকি ডাহা মিথ্যুক। ভুয়ো ডিগ্রি বানিয়েছেন তিনি। গিয়েছেন জেলে। আর সবথেকে বড় আর গুরুতর অভিযোগ, গায়ক নাকি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর পর্ন ভিডিও বানিয়ে সেটা আদালতে জমা করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আদনানের ভাই লেখেন, তিনি ঈশ্বর ছাড়া কাউকেই ভয় পান না। তাঁর খারাপ লাগলেও সত্যিটা সকলের জানা উচিত। তিনি দাবি করেন, ইংল্যান্ডে নয়, ১৯৬৯ সালের ১৫ অগাস্ট রাওয়ালপিন্ডি হাসপাতালে জন্ম হয় আদনান সামির। ইংল্যান্ডে নাকি ডিগ্রি পাননি তিনি, ফেল করেছিলেন। তারপর লুকিয়ে লাহোর থেকে ভুয়ো ডিগ্রি জোগাড় করেন আদনান।
এরপরেই বিষ্ফোরণ ঘটান জুনেইদ। তিনি লেখেন, আদনান সামি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবাহ-র একটি পর্ন ডিভিডি বানিয়েছিলেন। স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে এই ধরণের জিনিস হয়তো হতে পারে, কিন্তু সেটা অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আদনান বিষয়টা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি রাখতে দেননা।
জুনেইদ অভিযোগ করেন, সাবাহর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে সেই ডিভিডি নাকি আদালতে জমা করেন আদনান। তিনি দাবি করেন, ওই ডিভিডি তাঁর স্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক তৈরি করেছিলেন। এতটাই ঘৃণ্য মানসিকতার মানুষ আদনান। নিজের পেশাগত ব্যর্থতার দায়ও আদনানের ঘাড়েই চাপান জুনেইদ।
তিনি দাবি করেন, তাঁর কণ্ঠ নাকি আদনানের থেকেও ভাল। তিনি চাইলেই তাঁকে ভারতে লঞ্চ করতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি আদনান। জুনেইদের বক্তব্য, তাঁকে ভয় পেয়েছিলেন গায়ক। নিজের কেরিয়ারে প্রতিযোগিতা কমাতেই তাঁকে কখনো সাহায্য করেননি আদনান। পাকিস্তানের থেকে ভারতে টাকা বেশি পান বলেই নাকি ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছেন তিনি।
জুনেইদের পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। আদনানের কীর্তি শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে মন্তব্য করেন, বিষয়টা পুরোপুরি ব্যক্তিগত। এটাকে নিয়ে জলঘোলা না করাই ভাল। এরপরেই পোস্টটি মুছে ফেলেন জুনেইদ।