বাংলাহান্ট ডেস্ক: একেই টিআরপি কম, তার উপর ট্রোলের গেরো, বিপদ আর পিছু ছাড়ছে না ‘মিঠাই’ (Mithai) এর। টুইস্টের পর টুইস্ট এনেও টিআরপি বাড়ানো যাচ্ছে না সিরিয়ালের। তার মধ্যে আশঙ্কা সত্যি করে বদলে গিয়েছে মিঠাইয়ের সম্প্রচারের সময়। নতুন সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’কে এতদিনের বাঁধাধরা স্লট ছেড়ে দিতে হয়েছে মোদক পরিবারকে। এর মধ্যে আবার মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা! হাতের লেখার জন্য ট্রোলড উচ্ছেবাবু।
সিরিয়ালের দর্শকরা জানেন, এখন মিঠাইয়ের মা হওয়ার ট্র্যাক দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি সুখবর দিয়েছে মিঠাই রানী। বাবা হতে চলেছে সিদ্ধার্থ। আর খবরটা পাওয়ার পর থেকেই আমূল বদলে গিয়েছে উচ্ছেবাবু। আসন্ন ‘গোপাল’ আর মিঠাইয়ের চিন্তায় ঘুম উড়েছে তার। মিঠাই কী ভাবে হাঁটবে, কী খাবে, কখন খাবে সবটাই চিকিৎসকের কথামতো এবং ইন্টারনেট ঘেঁটে ঠিক করে দিচ্ছে সে।
চিকিৎসক যেমন যেমনটা বলে দিয়েছে তেমন ভাবেই বাংলায় তর্জমা করে লিখে দিয়েছে সিড, যাতে মিঠাই বুঝতে পারে। আর সেই দৃশ্য নিয়েই নেটপাড়ায় চলছে হাসাহাসি। আসলে উচ্ছেবাবু ওরফে আদৃত রায়কে দেখা গিয়েছে, একটি কাগজে গোটা গোটা অক্ষরে বাংলায় লিখতে। কিন্তু তাঁর হাতের লেখা দেখেই নাক কুঁচকেছেন অনেকে।
কেউ বলছেন, এমন বেঁকাত্যারা লেখা কোনো বাচ্চারও হয় না। আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করেছেন, মুখেই মারিতং জগৎ, অথচ তাঁর হাতের লেখার এই দশা! যদিও আদৃত ভক্তরাও ছেড়ে দেননি। তাদের পালটা দাবি, ভুলে গেলে চলবে না এখানে সিদ্ধার্থ এমনকি আদৃত নিজেও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। বাংলা লেখা কম হলে হাতের লেখা এমনি হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা গিয়েছে, মোদক পরিবারে গোপাল আসবে বলে সাধের অনুষ্ঠান হচ্ছে মিঠাইয়ের। গোটা পরিবার মিলে সাধ খাওয়াচ্ছে মিঠাই রানীকে। তখনি তুফান মেল বলে ওঠে, সে যেমন মা হচ্ছে তেমনি উচ্ছেবাবুও তো বাবা হচ্ছে। তাই দুজনে মিলেই সাধ খাবে। এবার দেখার অপেক্ষা নতুন এই টুইস্ট মিঠাইয়ের টিআরপিতে প্রভাব ফেলে কিনা।