পাত্রীর সন্ধানে বিজ্ঞাপন দিলেন “CBI Verified খাঁটি প্রাইমারি শিক্ষক”! হাসির রোল নেটদুনিয়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের রাজ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জেরে কার্যত “চাপে” রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মূলত, ইতিমধ্যেই টেট দুর্নীতির কাণ্ডে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি সামনে এসেছে নিয়ম বহির্ভূত শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাও। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এমনকি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, নেটমাধ্যমেও প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক মজাদার পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এমনকি নিয়মের ফেরে যেকোনো মুহূর্তে তাঁদের চাকরি চলে যেতে পারে বলেও তৈরি করা হয় একাধিক মিম। ঠিক এই আবহেই এবার একটি অভিনব বিজ্ঞাপন সামনে এল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে একজন প্রাথমিক শিক্ষক পাত্রীর সন্ধান করেছেন। পাশাপাশি, ওই বিজ্ঞাপনটি দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। মূলত, ওই বিজ্ঞাপনে নিজের সম্পর্কে ওই শিক্ষক যা লিখেছেন সেটাই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কম বেশি সময় কাটাতে ভালোবাসি। এছাড়াও সেখানে পাওয়া যায় নিত্য নতুন ভাইরাল হওয়া সব পোস্ট। সেগুলির মধ্যে এমন কিছু সময়োপযোগী পোস্ট থাকে যেগুলি দেখে হাসির উদ্রেক হয় নেটিজেনদের মধ্যে। এই বিজ্ঞাপনটির ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কি লেখা রয়েছে সেই বিজ্ঞাপনে:
মূলত ভাইরাল হয় বিজ্ঞাপনটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন ৩৪ বছর বয়সী প্রাথমিক শিক্ষক বিবাহের জন্য একজন পাত্রী খুঁজছেন। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়ার এই দোদুল্যমান অবস্থায় তাঁর চাকরিটি যে স্থায়ীভাবে থাকবে তার নিশ্চয়তা বোঝাতে তিনি ওই বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, “খাঁটি প্রাইমারি শিক্ষক, TET Pass, CBI Verified”।

CBI VERIFIED TEACHER VIRAL

অর্থাৎ এটা থেকে স্পষ্ট যে চাকরি পেতে তিনি কোনো দুর্নীতির পথ অবলম্বন করেননি। যে কারণে তাঁর চাকরি যাওয়ার কোনো ভয় নেই। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি স্পষ্ট করেই তিনি বিজ্ঞাপনে নিজেকে “CBI Verified” প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি , নদীয়ার মধ্যেই তিনি পাত্রীর সন্ধান চেয়েছেন। এছাড়াও বিজ্ঞাপনে তাঁর যোগাযোগের নম্বরটিও তিনি দিয়ে দেন।

এদিকে, এহেন বিজ্ঞাপন দেখে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে নেটাগরিকদের মধ্যে। পাশাপাশি এমন বিজ্ঞাপন যে আগে কেউ দেখেননি তাও স্বীকার করে নিয়েছেন অনেকেই। যদিও বেশ কয়েকজন আবার ওই শিক্ষককে সঠিকভাবে নিজের পরিচিতি উপস্থাপনের জন্য প্রশংসাও করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর