বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের ইতিমধ্যে সাজা ঘোষণা করেছে কলকাতার শিয়ালদা আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু শুরু থেকেই এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার। একাধিকবার তদন্তের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের সন্দেহ আরজি করের ঘটনায় সঞ্জয় রায় একা নন আরও অনেকে যুক্ত আছেন। এই মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েক দফা প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিলোত্তমার পরিবার।
আইনজীবী করুণা নন্দী আজ সব জানাবেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)
শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলার রায়দানের আগে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নতুন করে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সেই আবেদনে তাঁরা সিবিআই তদন্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছিলেন। নির্যাতিতার পরিবারের আশা আদালতের নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত হলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
শুরু থেকেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেছেন অধিকাংশ জনগণ কিন্তু তাকে শেষ পর্যন্ত আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি এই ঘটনাকে তাঁর বিরলের মধ্যে বিরলতম মনে হয়নি। শুধু তাই নয় শুধুমাত্র জনগণের আবেগের বশবর্তী হয়ে আদালত রায় দিতে পারে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছে রাজ্য সরকার। আজ সেই মামলারও শুনানি রয়েছে।
আজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর কান্ডে সঞ্জয় রায়ের শাস্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন আইনজীবী করুণা নন্দী। এই করুণা নন্দী হলে সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম সিনিয়র আইনজীবী। তিনি এবার নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে সর্বোচ্চ আদালতের মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত সপ্তাহের শনিবার আরজিকর মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর সোমবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতার শিয়ালদহ আদালত। আরজিকর মামলায় এর আগেও তিলোত্তমার পরিবারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সওয়াল করেছেন এই হাইপ্রোফাইল আইনজীবী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ‘রদবদল’ নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা! ফেব্রুয়ারিতেই ‘ফাইনাল ডিসিশন’?
কলকাতার নিম্ন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তাঁরা সিবিআই-এর থেকে খুঁজছেন কিন্তু সিবিআই এর তরফে বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়নি। তাই সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে শুরুর দিন থেকে তারা যে প্রশ্ন তুলেছিলেন তার উত্তর সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হওয়ার সময় পর্যন্ত অধরাই থেকে গিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের কাছেও নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য ছিল তারা এই মামলায় প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্ত তদন্তের জন্য তাঁরা কোথাও আবেদন করেননি। বা সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক সেটাও তারা কোথাও আবেদন করেননি। তাই আদালত যেটা ঠিক মনে করেছে সেটাই হয়েছে। আদালত এই মামলা সিবিআইকে হস্তান্তর করায় সেই সিদ্ধান্তকে পরিবারের তরফেও গ্রহণ করা হয়েছে। শুরু থেকেই তাঁদের দাবি ছিল একটাই তাঁরা যেন ন্যায় বিচার পান। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ সিবিআই তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের দাবি সিবিআই তদন্তের একাধিক জায়গায় অসংগতি রয়েছে।