বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঈদ উল ফিতরের(Eid-Ul-fetar) পর ভারতে(India) নিয়মিত জিহাদ (jihad)শুরু করবে তালিবান সম্প্রদায়। আর এই ঘোষণার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।আফগান তালিবানদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রতিশোধের ঘোষণা। আরএসএস, বিজেপি এবং ভারতের অন্যান্য সংখ্যালঘু সংস্থাগুলির দ্বারা ভারতবর্ষে কাশ্মীরিদের হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্বিচারে নৃশংস অত্যাচার।কিন্তু আজ সকালের নতুন রিপোর্ট বলছেন অন্য কথা
তালিবান সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কারণ
তালিবান রাজনৈতিক কার্যালয়ের নেতা আব্বাস স্টানকজাই বলেছেন, “আফগান জাতির স্বার্থেই যদি তালিবানরা আফগানিস্তানে ভারতের অবদানকে স্বাগত জানায় তবে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠীর সাথে অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রেখে ভারত গত ৪০ বছরে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে”দেশে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার মধ্যে বেশ কয়েকজন মুসলমান নিহত হয়েছেন। ডিসেম্বর, ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রশাসন বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) পাস করে । আর এই আইনটি বিশেষত প্রতিবেশী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের অমুসলিম অনিয়মিত অভিবাসীদের দাবির দ্রুত নজরদারি করেছে।
মত বদলানোর কারণ
আজ সকালের রিপোর্টএ আবার তালিবানরা জানিয়েছেন তারা আর জিহাদ করবেন না। তারা এও জানায় কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরিন অঙ্গ, আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে নাক গলাতে চাইনা।
মুসলিমদের নিয়ে সমস্যা
জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক রেজিস্ট্রেশন (এনআরসি) এর মাধ্যমে দেশব্যাপী নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া করার জন্য সরকারের চাপের সাথে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন,”অবৈধ অভিবাসীদের” চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই আইন মুসলিমদের ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে বহু ভারতীয় মুসলমানকে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং বঞ্চিত করা যেতে পারে বলেও মনে করার হচ্ছিলো। আর তালিবানরা এবার তার রোশ প্রকাশ করলেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ভারতে মুসলমানরা ক্রমশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।