পাকিস্তান ক্রমাগত সঙ্কটের মেঘের মধ্যে ফাঁসতে চলে যাচ্ছে। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানকে এখন প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের একটি বড় ধাক্কা পড়তে পারে। অনেক আফগান ব্যবসায়ী পাকিস্তানের উপর রফতানিতে শুল্ক বাড়ানোর জন্য তাদের সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। আফগান ব্যাবসায়ীরা চাই পাকিস্তান থেকে আগত ফলের উপর ট্যাক্স বাড়িয়ে দেওয়া হোক। আফগান ব্যবসায়ীরা বলেন যে ফলমূল ও শাকসব্জির জন্য কেবল পাকিস্তান নয়, ইরানের উপরও সরকারের উচিত শুল্ক বৃদ্ধি করা। দেশীয় বাজারগুলি বর্তমানে ইরানি এবং পাকিস্তানি ফল এবং শাকসব্জিতে পূর্ণ এবং সেগুলি আফগানিস্তানেও উৎপন্ন হয়।
আফগান ব্যবসায়ীরা আরও বলেছিলেন, দেশীয় উত্পাদকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার কিছু করছে না। এছাড়াও এক ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, ‘আমাদের ফলের মরসুম এলে পাকিস্তান আমদের উপর ভারী শুল্ক লাগু করে এবং আমাদের পণ্য কম দামে বিক্রি করতে হয়’। একই সাথে অপর ব্যবসায়ী কোদ্রাতুল্লাহ বলেছিলেন যে ইরান ও পাকিস্তানের পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বাড়াতে হবে। যদি কোনও উচ্চতর ফি না থাকে, তবে এর ঘাটতি দেশীয় কৃষি বাজারকে বহন করতে হবে। আফগান ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন যে, বাজারের অভাবে তাদের সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে আলু প্রতি কেজি 12 আফগানি ($ 0.15) বিক্রি হচ্ছে।
এখন আফগান সরকার চাপে পড়ে পাকিস্তানের উপর ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই পাকিস্তান আর্থিকভাবে দুর্বল, এরমধ্যে এমন আফগানিস্তান এর একটা সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানে চীনের যে প্রজেক্ট চলছিল তাও এখন বন্ধ। বাইরের কোনো বড় কোম্পানি নিবেশ করতেও রাজি নয়। পাকিস্তান এত হারে লোন নিয়েছে যে বাহ্যিক সাহায্য ছাড়া পাকিস্তান আর বের হতে পারবে না। মোট ঋণের পরিমাণ ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। বিদেশী মুদ্রা ভান্ডার একেবারে নীচে পৌঁছে গেছে। পাকিস্তানি মুদ্রা বিগত ৮ মাসে ৪ বার নিন্মমুখী হয়েছে। IMF এর থেকে লোন নিয়েও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।