বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিপদজনক দেশ হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান (Afghanistan)। তালিবান শাসনে নিত্যদিনই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছে বাসিন্দারা। আর যারা ভাগ্যবান তারা পালাতে সক্ষম হচ্ছেন দেশের মাটি ছেড়ে। এর মধ্যেই রয়েছেন আফগান পরিচালক রোয়া হায়দরি (roya heydari)। তালিবানদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে হল তাঁকে।
রোয়ার জন্মভূমি এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে তালিবানরা। ভেঙে পড়েছে শাসনব্যবস্থা, অর্থনীতি। এক বোতল জলের দামও ভারতীয় মুদ্রায় হাজার টাকার বেশি। তালিবানদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে কোলের শিশুকে ফেলে পালাচ্ছে মানুষ। আবার অনেকে নিজের হাতে সন্তানকে তুলে দিচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে, একটু ভাল জীবনের আশায়।
যারা কাবুল বিমানবন্দরে এসে ভিড় করছে প্রকাশ্যেই তাদের উপর গুলি চালাচ্ছে তালিবান বাহিনী। তবে রোয়া ভাগ্যবতী, শোনা যাচ্ছে ফ্রান্সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময়ে একটি ছবি শেয়ার করেছেন পরিচালক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাঁটু মুড়ে বসে নিজের জন্মভূমির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/CS2o3PXKsTE/?utm_medium=copy_link
ক্যাপশনে রোয়া লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতা বজায় রাখতে নিজের গোটা জীবন, নিজের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে আরো একবার। আরো একবার নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। শূন্য থেকে শুরু করব আমি। শুধু নিজের ক্যামেরা আর একটি মৃত আত্মা সঙ্গে নিয়ে সাগর পারে যাচ্ছি। ভারী হৃদয় নিয়ে বিদায় জানাচ্ছি মাতৃভূমিকে। আবারো দেখা হবে।’
https://www.instagram.com/p/CS64umhCvH3/?utm_medium=copy_link
এখানেই কথা শেষ করেননি রোয়া। অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এটা আমার জন্য শেষ নয়। যন্ত্রণা ও ক্ষোভে পূর্ণ আমি। একদিন আমি ফিরে আসব, আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে, আরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে। যারা আমার দেশকে নিয়ে খেলেছে আর আমার লোকজনদের মেরেছে তাদের প্রত্যেককে মারব। সুর চড়াব আর সেই প্রত্যেকটি দেশ ও প্রত্যেকটি মানুষকে নিজের শিল্পের মাধ্যমে দেখাব যারা আমার দেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলায় মেতে ছিল। আমি চুপ করব না। যে যন্ত্রণা আমার হৃদয়ে আছে তা আরো শক্তিশালী করছে আমাকে। আমার শিল্প এই যুদ্ধের থেকে বেশি শক্তিশালী, আমার লোকজন এই ভীরুদের থেকে বেশি শক্তিশালী। নিজের দেশ, নিজের মানুষ, নিজের বাড়ি, আমার আফগানিস্তানের জন্য আবারো উঠে দাঁড়াব আমি।’