দেশে ফিরতে চাইছে না আফগান পড়ুয়ারা, জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভারতই নিরাপদ আশ্রয়

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন আশরফ ঘানি। আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ দখলের পর, রাজধানী কাবুলের দিকে হাত বাড়িয়েছিল তালিবানরা। কিন্তু কাবুল সম্পর্কে কিছুটা অন্য সুর শোনা গিয়েছিল তালিবানদের গলায়। তাঁরা বলেছিল, ‘কাবুলে নতুন করে কোন যুদ্ধ নয়, সরকার গড়ে তুলতে চাই’।

আর তালিবানদের এই চাপে পড়েই রবিবার আসন ছাড়লেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরফ ঘানি। আর এর ফলেই প্রায় কুড়ি বছর পরে ফের একবার মসনদে ফিরল তালিবানরা। মূলত, মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই, তালিবানদের ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায় আফগানিস্তানে। যার কারণে তাঁরা হস্তগত করতে সক্ষম হয় কাবুলিওয়ালার দেশ।

এই পরিস্থিতিতে আফগান নাগরিকদের পাশে দাঁড়ালো নয়াদিল্লী। হিতৈষী আফগান নাগরিক, অর্থাৎ সাংবাদিক, লেখক, সমাজকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতে আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। ভারতের পাশাপাশি আমেরিকা, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে সমস্যায় পড়েছে ভারতে অবস্থিত আফগান পড়ুয়ারা। ভয়ে, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আফগান পড়ুয়ারা। তাঁদের ভয়, সেখানে গেলে মৃত্যু কিংবা কারাবাস অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষে ভারতেও থাকতে পারবে না তাঁরা। কিন্তু এই অবস্থায় ভারতকেই তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করছে তাঁরা।

ছাত্রদের কথায়, ‘ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে। কিন্তু আফগানিস্তানে ফিরে গেলে হয় প্রাণ হারাতে হবে, নতুবা তালিবানদের বন্দী হতে হবে। আশা করি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে, কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ভিসার মেয়াদ বাড়াবে। পরিবারের সঙ্গেও অনেক দিন ধরে কোন কথা বলতে পারছি না’।

X