‘এর চেয়ে আমাদের মাথা কেটে নিক!’, শিক্ষায় তালিবানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব আফগান মহিলারা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অশিক্ষিত থাকার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল। তালিবানের (Taliban) বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন আফগান মহিলারা। তাঁদের পরিস্কার দাবি, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তালিবান যদি আমাদের মাথা কেটে নিত, অনেক বেশি ভাল হত।’

সম্প্রতি আফগান মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। মৌলবাদী শাসকরা জানিয়েছে, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর আগে পর্যন্ত মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার কোনও অধিকার থাকছে না। এল আফগানিস্তানে (Afghanistan)। আখুন্দজাদার দলের এই রকম ফতোয়ার জেরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রীর। এর বিরুদ্ধে মারওয়া নামের এক মেধাবী আফগান ছাত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তালিবান (Taliban) যদি আমাদের মাথা কেটে নিত, অনেক ভাল হত।’

সংবাদমাধ্যমকে বছর উনিশের মারওয়া জানান, সম্প্রতি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। ইচ্ছা ছিল আগামী মার্চ থেকেই কাবুলের একটি মেডিক্যাল কলেজে নার্সিং ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা শুরু করবেন তিনি। কিন্তু তালিবানের ফতোয়ায় তাঁর স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে পশুদের থেকেও মহিলাদের অবস্থা খারাপ। পশুরা নিজেদের ইচ্ছামতো যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারে। আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিয়েছে তালিবান।’

ভাই হামিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল মারওয়ার। কিন্তু এবার হামিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেখবেন ঘরে বসে। তাঁর কথায়, ‘এটাই কি চেয়েছিলাম? ঘরে বসে থাকতে হবে বলেই কি নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য পড়াশোনা করেছিলাম?’ মারওয়ারের মতো লক্ষ লক্ষ তরুণীর স্বপ্নের কোনও দাম দিল না তালিবান সরকার। শুরু মারওয়া নয়, তাঁর মতোই এমন আরও আফগান মহিলা তালিবান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর