কাবুল গুরুদ্বারে হামলা ISIS-র, সব জঙ্গিদের নিকেশ করার দাবি তালিবানের! আতঙ্কে সংখ্যালঘুরা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন সকালে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুল (Kabul)। সকাল হতেই কাবুলের একটি গুরুদ্বার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পাশাপাশি গুলিও চলে বলে জানা গিয়েছে, যার জেরে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক নিরাপত্তারক্ষী। বাটখাক স্কোয়ারে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে আইএসআইএস খোরাসান জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা জারি করা হয়। ইতিমধ্যে যে খবর এসে পড়েছে সেই অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সকল সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।

সূত্রের খবর, গুরুদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটার সময় সেখানে 16 জন উপস্থিত ছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে বহুজনকে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আহমেদ নামে এক নিরাপত্তারক্ষীর। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসার পরই তৎপর হয়ে ওঠে তালিবান সরকার। পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে 400 থেকে 500 নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে তারা।

ইন্ডিয়ান ওয়ার্ল্ড ফোরামের সভাপতি পুনিত সিং জানান, “কাবুলের কাছে একটি গুরুদ্বারে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এছাড়া কয়েকজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়ে পড়েন, তাদেরকে বর্তমানে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

গত বছর আফগানিস্তানের তালিবানদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। গত 11 ই জুন কাবুলে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। সে ক্ষেত্রে 35 জন আফগানিস্তানবাসী গুরুতরভাবে জখম হন আর এদিন গুরুদ্বারে এই বিস্ফোরণ সরকারের ওপর বেশ কয়েকটি প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। যদিও ঘটনার পরেই আইএসআইএস খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়।

blast 1

সূত্রের খবর, এদিন সকালে গুরুদ্বারের ভেতর ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা এবং বিস্ফোরণের পর তারা এর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সকল হামলাকারীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন শিখ নাগরিকের খোঁজ পাওয়া না গেলেও তাদের খুব দ্রুত উদ্ধার করা হবে বলে আশ্বাস সরকারের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর