বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কট্টর ইসলামিক সংগঠন তালিবান গত রবিবার কাবুলে কবজা করে গোটা আফগানিস্তানে নিজেদের শাসন কায়েম করে। এর আগে গত একমাসে দেশ হিংসার আগুনে জ্বলছিল। সাংবাদিক, নেতা, কমিডিয়ান, সরকারি আধিকারিক, সেনাদের হত্যা করছিল তালিবানরা। কাবুলে তালিবানি পতাকা ওড়ার পর দেশের রাষ্ট্রপতি আশরফ গনিও আফগানিস্তান ছেড়ে পালান।
এত কিছুর পর সবাই যখন ভাবছিল যে আফগানিস্তানে এখন যুদ্ধ শেষ। তখন উদয় হয় আফগানিস্তানের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ’র। তিনি নিজেকে দেশের কার্যবাহ রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে লড়াই চালিয়ে রাখার বার্তা দেন। ১০ হাজার সেনা আর গোটা দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন সালেহ।
আফগান মিডিয়া অনুযায়ী, সালেহর নেতৃত্বে আফগানিস্তান সেনা আর স্থানীয় মানুষ তিনটি জেলাকে তালিবানদের দখল থেকে মুক্ত করেছে। বগলান প্রান্তের বানু, পোল-ই-ইসার আর দেহ-ই-সলাহ জেলায় আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ধ্বজ উড়ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষের পর তালিবানরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে তালিবানের ৬০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অনেকেই আহত বলে খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে এই লড়াই একটি আগুনের ফুলকির মতো কাজ করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে সালেহ’র সেনা আফগানিস্তানের পঞ্জশির এলাকা দখল মুক্ত করিয়েছিল তালিবানদের হাত থেকে। তালিবানদের বিরুদ্ধে সালেহ’র এই সাহসী লড়াইকে গোটা বিশ্ব কুর্নিশ জানাচ্ছে। কিন্তু তার পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হল, মাত্র কিছু সংখ্যক সেনা আর স্থানীয় মানুষ নিয়ে সালেহ কতদিন লড়াই চালাবে শক্তিধর তালিবানদের সঙ্গে?