বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের পরিবর্তীত পরিস্থিতির মধ্যে, নাগরিকদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর যাদের কাছে কাজ আছে, ঠিকমত বেতনও পাচ্ছেন না তারা। বন্ধ রয়েছে ব্যাঙ্ক। এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে অর্থ এক্সচেঞ্জও করা যাচ্ছে না। চরম সংকট, দুর্দিনের মধ্যে রয়েছে বতর্মান সময়ের আফগানিরা। বাজারে ঠিকমতো খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় আফগানিস্তান থেকে এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, ‘আমি পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছি। এই মুহূর্তে আমি কি করব বুঝতে পারছি না। নিজের রক্ষা করব, নাকি পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেব, তা বুঝতে পারছি না। টাকা জোগাড়ের জন্য স্ত্রীয়ের দুটো আংটি বিক্রি করতে গিয়েও, দোকান বন্ধ থাকায় তা করতে পারিনি। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। কি করব বুঝতে পারছি না’।
মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন এই আফগান পুলিশ কর্মী, যা দিয়ে তাঁর স্ত্রী, সন্তান নিয়ে হেসে খেলে জীবন কাটছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে তালিবানী শাসনে তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। আগে যাও বা একটু দেরিতে হলেও বেতন ঠিক পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন গত ২ মাস হয়ে গেল, সঠিক সময়ে বেতনও পাচ্ছেন না তিনি। গত ৩ মাস ধরে বাড়ি ভাড়াও দিতে পারছেন না তিনি।
শুধু পুলিশকর্মীই নয়, আর্থিক সংকটে রয়েছেন অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরাও। পশ্চিমা দেশের সমর্থন ছাড়া, আফগানিস্তানের অর্থব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। যখন থেকে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে সরতে শুরু করেছে, তখন থেকেই তালিবানী প্রভাবে আফগানবাসীদের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে। রোজকার জিনিস থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস, সবকিছুরই দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া।
এই পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকুরিজীবি জানিয়েছেন, ‘১৫ হাজার টাকা বেতন পেতাম আমি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাও বন্ধ। খাবার জোগাড় করতে পারছি না। পরিবারে একজন অসুস্থ মানুষ রয়েছেন, যার ওষুধও কিনতে পারছি না। পুরো শেষ হয়ে গেছি। এখান ভগবানই ভরসা’।