বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন। তারপর ১০ ঘন্টা ধরে দেহ খণ্ড খণ্ড রাখা হলো ফ্রিজে। তারপর সময় সুযোগ বুঝে শ্রদ্ধার দেহের (Sradhdha Murder Case) বিভিন্ন অংশ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসত আফতাব। শুধু তাই নয় কবে, কোন এলাকায়, দেহের কোন অংশ ফেলা হয়েছে তা নাকি রীতিমতো লিখে হিসাব রাখতো আফতাব। পুলিসের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সময় যত এগোচ্ছে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড যেন আরও নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। পুলিসের জেরায় যেসব তথ্য উঠে আসছে তাতে নৃশংসতার উদাহরণ হিসাবে আফতাবকে মনে রাখবে সমাজ। পুলিশি জেরায় আফতাব আরও জানিয়েছেন, শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করার পর অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। আগে দেহের টুকরোগুলি ফেলে এসেছিলেন দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে। তারপর ধীরে-সুস্থে শ্রদ্ধার মাথা ফেলে দেন আফতাব। শ্রদ্ধাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে, তার জন্য মুখও পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, পুলিশি জেরায় এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলেন দিল্লির নৃশংস হত্য়াকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ইতিমধ্যেই একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে, তাতে দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে হেঁটে যাচ্ছে আফতাব, তাঁর কাঁধে বড় একটি ব্যাগ। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যাগে ভরেই শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি জঙ্গলে ফেলতে গিয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব।
পুলিশি জেরায় আফতাব জানিয়েছেন, শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করার পর প্রথমে গুগল সার্চ করে জানে যে দেহের কোন অংশে সবার প্রথমে পচন ধরে। সেই অংশগুলিই আগে কালো প্যাকেটে ভরো জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে আসেন। জঙ্গলে থাকা শিয়াল ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা দেহের টুকরোগুলি খেয়ে নেবে, এমনটাই অনুমান করেছিল আফতাব। এছাড়া ছত্তরপুরের জঙ্গল দিল্লি ও হরিয়ানা-দুই রাজ্যজুড়ে বিসতৃত হওয়ায় পুলিশি তদন্ত শুরু হলেও, দুই রাজ্য নিজেদের মধ্যে তদন্ত ঠেলাঠেলি করবে, যারফলে সুষ্ঠ তদন্ত হবে না এবং তিনি ধরা পড়বেন না, এমনটাও কল্পনা ছিল আফতাবের।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের (Shraddha Walkar murder) কথা স্বীকার করে নিয়েছে তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। রাগের মাথায় প্রেমিকাকে খুন করেছিল বলেও মঙ্গলবার দিল্লির আদালতে দাবি করেছে অভিযুক্ত। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।