বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজক পরিবেশ বজায় ছিল পড়শি দেশ বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-হামলার আবহে বারংবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিল ওই দেশ। শুধু তাই নয়, ওই দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ঘটে গিয়েছে পরিবর্তন। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার ইস্তফা দেওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনূস।
ধীরে ধীরে ট্র্যাকে ফিরছে বাংলাদেশ (Bangladesh):
এমতাবস্থায়, প্রায় এক মাস পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। মূলত, চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গত ১৭ জুলাই দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। তবে, এবার গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রক তার আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করার নির্দেশ জারি করেছে। এমতাবস্থায়, দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছে।
এক মাস পর ঢাকার রাস্তায় স্কুলের ইউনিফর্ম দেখা গিয়েছে: ঢাকার বাংলা নিউজ চ্যানেল সময় টেলিভিশন জানিয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশ অনুসরণ করে শিক্ষা মন্ত্রকের সব বিভাগকে ১৮ অগাস্ট ফের বাংলাদেশের (Bangladesh) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করতে বলা হয়েছে। গত ১৫ অগাস্ট উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আখতার এই নির্দেশ জারি করেন।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে বিপদ? এই শহরের আকাশে দেখা গেল ৬০ টিরও বেশি UFO, ঘুম উড়ল বাসিন্দাদের
জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশে (Bangladesh) কর্ম সপ্তাহ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলের পড়ুয়াদের সকালে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় রাস্তায় দেখা গেছে। পড়ুয়াদের বাবা-মা তাদের স্কুলে নামিয়ে দেন। এদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কারণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিস করবেন না সুযোগ! এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় মিলছে চাকরি, কিভাবে করবেন আবেদন?
গত ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ: উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) পূর্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ক্লাস স্থগিত করা হয়। রবিবার ফের খুলেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জানিয়ে রাখি যে, ভারত থেকে হাজার হাজার পড়ুয়া বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন। যাঁরা বাংলাদেশের হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে দেশে ফিরে এসেছিলেন। এখনও পর্যন্ত, ভারত সরকার তাঁদের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য কোনও নির্দেশ জারি করেনি। এমতাবস্থায়, ওই পড়ুয়ারা অপেক্ষায় রয়েছেন।