বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শেষ তিন ম্যাচে দল জয়ের মুখ দেখেনি। ফলে আজ ভালো ফর্মে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে যখন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা (MS Dhoni) মাঠে নামছিলেন তখন কিছুটা চিন্তিত ছিলেন সিএসকে (CSK) ভক্তরা। কিন্তু ম্যাচের শেষে দেখা গেল সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ততার ছবি। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে দুর্দান্ত জয় পেল তারা। ম্যাচ হেরে কিছুটা চাপে পড়ে গেল রোহিতের মুম্বাই।
আজ টসে যেতেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। আজ সিএসকের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের টপ অর্ডার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব (২২) এবং ট্রিস্টান স্টাবস (২০) কিছুটা লড়াই করেন। কিন্তু মূলত নেহাল ওয়াদেরার ৫১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে ১৪০ রানের টার্গেট সিএসকের সামনে রাখতে পেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু সেটা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না।
আজ চেন্নাইয়ের হয়ে অসাধারণ বোলিং করেছেন তাদের তিন পেসার। নতুন বল হাতে দীপক চাহার এবং তুষার দেশপান্ডে শুরুতেই মারাত্মক ধাক্কা দিয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে আর ম্যাচে ফিরতেই পারেনি রোহিতরা। কৃপণ বোলিং করে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তুষার এবং দীপক। কিন্তু আজ নিঃসন্দেহে চেন্নাইয়ের সেরা বোলার মাথিশা পাথিরানা। ডেথ ওভার গুলিতে বল করতে এসে নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে মুম্বাইকে ১৫০ রান তোলা থেকে আটকান তিনি।
এরপর রান তারা করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে শুরু করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। ১৬ বলে ৩০ রানের একটি আগ্রাসী ইনিংস খেলে শুরুতেই মুম্বাইকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তিনি। তারপর অবশ্য পীযূষ চাওলার চেষ্টায় ম্যাচে কিছুটা ফেরার চেষ্টা করেছিল রোহিতরা। কিন্তু কনওয়ে (৪৪), রাহানে (২১) এবং শিবম দুবে (২৬) ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করে দেন। শেষ থেকে ব্যাট করতে নেমে উইনিং শটটি আসে ধোনির ব্যাট থেকে।
এর আগে টানা ১৩ বছর ধরে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অপরাজিত ছিল রোহিতের মুম্বাই। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের গত কয়েকটি সংস্করণে দেখা গিয়েছে যে দল ম্যাচ জিতছে, সেই দলই ম্যাচ জিতছে। আজও সেই ধারাই বজায় রইলো।