বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্রমশ ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। ২০৫০ সালে ছিটেফোঁটাও জল (water) পাবে না ৫০০ কোটিরও বেশি বিশ্ববাসী, এমনটাই জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ ‘ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টের ‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’ শিরোনামে এমনটাই জানানো হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমছে পৃথিবীর জলস্তর। আর গত ২০ বছর এই পরিমাণ কমেছে চোখে পড়ার মতন। জলহীন ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের আঁচ বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ ২০১৮ সালেই টের পেয়ে গিয়েছিল, যখন বছর এক মাস তাঁরা জল পায়নি।
এবিষয়ে ডব্লিউএমও-র প্রধান পেত্তেরি তালাস জানিয়েছেন, ‘উষ্ণায়ন আর না বাড়ে সেইজন্য সকল দেশের রাষ্ট্রনেতারাই কিছু করার পরিকল্পনা করলেও, তা আজ না কাল করে ফেলে রেখেছেন অনেকেই। এই কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘২০ বছরে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা পূর্বের দুদশকের থেকে ৭ শতাংশ বেড়েছে শুধুমাত্র দ্রুত উষ্ণায়নের জন্য। অতিরিক্ত বন্যা এবং তীব্রতাই এর জন্য দায়ী। এর পরিমাণ এশিয়ায় সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে’। আরও জানা গিয়েছে এর ফলে সর্বাধিক প্রভাবতি হতে পারে মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আসন্ন বিশ্ব সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলচনার করার আর্জি জানানো হয়েছে সকল রাষ্ট্রনেতাদের। এই ‘সিওপি-২৬’ শীর্ষক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শে অক্টোবর থেকে ১২ ই নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগোতে।