ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তি ফের হল স্পষ্ট! ৩ বছর পরেই এই পরিসংখ্যানে চিনকে হারাবে আমাদের দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের মানচিত্রে ভারত (India) যে ক্রমশ শক্তিশালী প্রভাব ফেলছে তা বর্তমান সময়ে বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। সেই রেশ বজায় রেখেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বুধবার পাওয়া গেল। উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশ ২০২৭ সালে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ অপরিশোধিত তেলের বাজারে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব থাকবে। আর এইভাবেই, ভারত ২০২৭ সালে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে চিনকে (China) ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (International Energy Agency, IEA) এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। IEA জানিয়েছে যে, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিতে পরিবহণ তথা শিল্প থেকে আসা খরচ, ক্লিন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিকরণের ওপর একটি বড় জোর দেওয়া সত্ত্বেও এই বৃদ্ধিকে চালিত করবে।

এখন আমরা দ্বিতীয় স্থানে আছি: প্যারিসে স্থিত এই সংস্থা বুধবার ইন্ডিয়া এনার্জি সপ্তাহে প্রকাশিত ইন্ডিয়ান অয়েল মার্কেট আউটলুকে ২০৩০ পর্যন্ত একটি বিশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে যে, দেশের অপরিশোধিত তেলের চাহিদা ২০২৩ সালে প্রতিদিন ৫৪.৮ লক্ষ ব্যারেল থেকে বেড়ে ২০৩০ সালে ৬৬.৪ লক্ষ ব্যারেল হবে। এদিকে, চিন বর্তমানে তেলের চাহিদার নিরিখে সবথেকে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং ভারত তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

After 3 years, our country will beat China in these statistics

চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত: ওই রিপোর্টে IEA দ্বারা প্রদত্ত পরিসংখ্যান অভ্যন্তরীণ এবং রপ্তানির উদ্দেশ্যে অপরিশোধিত তেলের জ্বালানিতে রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত রয়েছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পরিমাণ প্রতিদিন প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যারেল (বিপিডি)। এই প্রসঙ্গে IEA ডিরেক্টর (এনার্জি মার্কেটস অ্যান্ড সিকিউরিটি) কিসুকে সাদামোরি বলেন, “দ্রুত সবুজ শক্তির পদক্ষেপ সত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের তেলের চাহিদা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে। ভারতের বৃদ্ধির হার ২০২৭ সালে চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: এবার নতুন রূপে বাজারে এন্ট্রি নিচ্ছে Luna! ফুল চার্জে ছুটবে ১৫০ কিমি, প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিন গড়করি

উন্নত দেশ হওয়া সত্বেও চিনে তেলের চাহিদা কমে গেছে: তবে, চিনের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, চিনের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে বলেও অনুমান করা হয়েছে। IEA-র তেল শিল্প ও বাজার বিভাগের প্রধান টোরিল বোসোনি বলেছেন, “উন্নত দেশ এবং চিনে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায়, ভারত বৃদ্ধির বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠবে।” বর্তমানে ভারত আমেরিকা এবং চিনের পরে ভারত অপরিশোধিত তেলের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক। ভারত তার তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশ আমদানি করে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার কারণে এই নির্ভরতা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: ৬৩ বছর ধরে এই মুসলিম দেশে মঞ্চস্থ হচ্ছে রামায়ণের ওপর নৃত্যনাট্য! রোজা রেখেও অংশগ্রহণ করেন শিল্পীরা

IEA জানিয়েছে, “ভারত বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা বৃদ্ধির বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠবে। যেখানে উন্নত অর্থনীতির চিনে, প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধি ধীর হবে বলে আশা করা হলেও পরবর্তীতে এর বিপরীত হতে পারে।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ”ভারত প্রায় ১২ লক্ষ বিপিডি বৃদ্ধির ট্র্যাকে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৬৬ লক্ষ বিপিডতে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর