বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় নিজের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। গত বারের থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে বঙ্গ জুড়ে জয়জয়কার শাসকদলের। ২৯ খানা লোকসভা দখল করে বিরোধীদের কার্যত হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আর এরই মাঝে এবার সিঙ্গুরে উড়ল সবুজ আবির। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সিঙ্গুরে সমবায় সমিতি (Singur Co Operative Election) সিপিএমের (CPM) হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। অবসান তিন দশকের ইতিহাসের।
রবিবার সিঙ্গুর বিধানসভার নসিবপুর অঞ্চলের গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। তৃণমূল ছাড়াও প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম ও বিজেপি। ভোটের ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় মোট ৪৫ আসনের মধ্যে সবগুলোতেই জয়ী তৃণমূল। সিপিএম ও বিজেপিকে শুন্যে নামিয়ে জয়ের পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
রাজ্য থেকে বহু আগেই বামেরা বিদায় নিলেও এই সমবায় বরাবরই ছিল তাদের দখলে। কিন্তু সেখানেও বিদায়। সিঙ্গুরের সেই সমবায় সমিতি গেল বাংলার শাসকদলের ঝুলিতে। রবিবার সকাল থেকেই এই সমবায়ের ভোটকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশি সামালে রাখতে জোরদার পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
গোবিন্দপুর সমবায়ের ভোটে এবারেও সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। তৃণমূলও সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ১২ আসনে। তবে বিরোধীরা কেউই দাগ কাটতে পারল না। শেষ হাসি হাসল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের চোটে রাজ্যে ফের একবার বাড়ল গরমের ছুটি, জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি
ভোটে জয়ের পর তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, “প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই সমবায় সিপিএমের দখলে ছিল। ক্ষমতা কায়েম রাখতে সিপিএম ও বিজেপি রামধনু জোট করে লড়ছিল। কিন্তু সিপিএম পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তাই মানুষ সঠিক বিচার করে তৃণমূলকে জয়ী করল।”