পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশালাকার এক ধূমকেতু! ৫০ হাজার বছর পর ঘটছে এই ঘটনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: নতুন বছর শুরু হতে না হতেই এবার দেখা মিলবে ধূমকেতুর (Comet)! এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবীকে অতিক্রম করবে ধূমকেতুটি। এমনকি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এক্কেবারে খালি চোখে দেখাও যাবে সেটিকে। এমতাবস্থায়, ৫০ হাজার বছর পরে এহেন ধূমকেতু দৃশ্যমান হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জুইকি ট্রানসিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই ধূমকেতুটির সন্ধান পেয়েছিল। ধূমকেতুটির নাম দেওয়া হয় “C/2022 E3 (ZTF)”। এদিকে, তখন সেটি বৃহস্পতি গ্রহকে অতিক্রম করছিল। ধূমকেতু সাধারণত উর্ট ক্লাউড নামের একটি এলাকা থেকে আসে। এক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। মূলত, উর্ট ক্লাউড হল সৌরজগতের চারপাশে বিশাল এক গোলক, যেখানে নানান মহাজাগতিক বস্তু থাকে। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ধূমকেতুটির গঠন নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি, নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটিকেও কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, আগামী ১২ জানুয়ারি এই ধূমকেতুটি সূর্যকে অতিক্রম করবে। পাশাপাশি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই ধূমকেতুটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায়, ওই সময়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সহজেই সেটি দেখা যেতে পারে। এমনকি, আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই ধরা পড়বে ধূমকেতুটি।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের প্যারিস অবজারভেটরির জ্যোতির্পদার্থবিদ নিকোলাস বিভার বলেছেন, পূর্ণিমা থাকলে ধূমকেতুটি দেখা কঠিন। তবে এই মাসের শেষ দিকে পূর্ণিমা থাকছে না। তাই ধূমকেতু দেখার এটি অন্যতম ভালো সুযোগ। এমতাবস্থায় ১০ ফেব্রুয়ারি ধূমকেতুটি যখন মঙ্গল গ্রহ অতিক্রম করবে, তখনও এটি দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, নিকোলাস আরও জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি এবার পৃথিবীকে অতিক্রমের পর পুরোপুরি সৌরজগতের বাইরে চলে যাবে। অর্থাৎ, সেটি আর ফিরবে না।

zb3ubzodpvb5retlf2ivefnsea

এদিকে, জ্যোতির্পদার্থবিদদের মতে, ধূমকেতুটি বরফ ও ধূলিকণা দ্বারা তৈরি। এমতাবস্থায়, এটি সবুজ আভা ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ধূমকেতুটির ব্যাস হল প্রায় এক কিলোমিটার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবারের ধূমকেতুটির বিশেষত্ব হল, এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। তাই, এটি বেশি উজ্জ্বলতার সাথে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর