অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয় মোবাইল, মিলল খেজুর গাছের তলায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিন দিন ধরে একটানা তল্লাশি। এরপর আজ জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban krishna Saha) আরো একটি মোবাইল ফোন (Mobile) উদ্ধার হল পুকুর থেকে। এই তৃণমূল বিধায়ক এর প্রথম মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয় গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ। এরপর আজ বেলা বারোটা নাগাদ উদ্ধার হল তার ফেলে দেওয়া দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি।

সিবিআই অফিসারেরা শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোন উদ্ধারের উদ্দেশ্যে। মোবাইল ফোন তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় ছয়টি ব্যাগ। সেই ব্যাগগুলি থেকে ফোন পাওয়া যায়নি। এরপর পুকুরে লোক নামিয়ে মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। এরপর মেশিনের সাহায্যে জল তোলা হয় পুকুর থেকে।

কাদা ও পাঁকে ভরা সেই পুকুর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। সিবিআই অফিসারেরা হন্যে হয়ে সেই মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। কারণ তারা মনে করছেন এই মোবাইলে এমন কিছু তথ্য লুকিয়ে আছে যা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সিবিআই অফিসারদের এই ভাবনা যে অনেকাংশে সত্য তা প্রমাণিত হয় চৈত্র সংক্রান্তির বিকেলে।

সেদিন তল্লাশি শুরু হওয়ার পরেই নাটকীয়ভাবে জীবনকৃষ্ণ সাহা সিবিআই (Central Bureau of Investigation) অফিসারদের চোখের সামনে মোবাইল ফোন দুটি ফেলে দেন পুকুরে।
সিবিআই এরপর থেকেই শুরু করে মোবাইল তল্লাশির কাজ। একটি মোবাইল রবিবার সকালে উদ্ধার করা গেলেও অপরটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় সিবিআইকে।

এরপর সিবিআই তলব করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে। তার নেতৃত্বে পুকুরে শুরু হয় মোবাইলের খোঁজে তল্লাশি। সারাদিন তল্লাশির পরেও মোবাইলের খোঁজ না পেয়ে বিকেলে পুকুরে আনা হয় জেসিবি মেশিন। এরপর পুকুরের জল ছেঁচে নিয়ে কাঁদার মধ্যে শুরু হয় মোবাইল খোঁজা।

tmc mla jiban krishna saha ,,

৩৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর আজ বেলা বারোটা নাগাদ উদ্ধার হয় জীবনকৃষ্ণ সাহার ফেলে দেওয়া দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি। তবে দীর্ঘক্ষণ জল ও কাদার মধ্যে থাকায় মোবাইল ফোনের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখান থেকে কতটা পরিমাণ ডেটা রিকভারি করা যায় সেই কথাই ভাবাচ্ছে সিবিআই অফিসারদের।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর