বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে আসছে সেই শুভদিন। পুজোর আগে প্রাথমিকে চাকরি (Primary Tecahers)। সীমাহীন দুর্নীতি (TET Scam) আর সুদীর্ঘ টানাপোড়েনের পর প্রাথমিকে নিয়োগ পেতে চলেছেন ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ শুরু করেছে শিক্ষা পর্ষদ। আজ সোমবার ইন্টরভিউ ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য সল্টলেক সেক্টর ২-এর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ডাক পান ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী।
কী কী নথি নিয়ে যেতে হবে ভেরিফিকেশনের জন্য?
১. টেটের অ্যাডমিট কার্ড।
২. মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার আসল অ্যাডমিট কার্ড
৩. মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষার আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৪. উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) বা সমতুল পরীক্ষার আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৫. বিএর আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট
৬. ভোটার আইডি কার্ড বা আধার কার্ড
৭. পাসপোর্ট সাইজ ছবি
দীর্ঘ ৮ বছরের লম্বা এক লড়াই। অবশেষে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন তাঁরা।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে চাকরি পান উত্তীর্ণরা। এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সঙ্গে ভুল প্রশ্নের প্রাপ্য নম্বরে গোলমাল রেয়েছে। এই অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাকিরা। দায়ের হয় মোট ৬টি মামলা। আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়ে এসএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয় বিশেষজ্ঞ দল। তাঁদের রিপোর্টেও জানান হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এরপরই কোর্টের নির্দেশে নম্বর বাড়ে একশো সাতাশি জনের। টেট পাশ করে তাঁরাও চাকরির পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু ভুল স্বাকীর করেও শূন্যপদ না থাকায় নিয়োগ করা এই মুহুর্তে সম্ভব নয় বলে দাবি করে পর্ষদ। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে পাত্তা পায়নি সেই দাবি। প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে তিন দফায় ১৮৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি।
২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩ জনকে চাকরিতে দিতে হবে। এমনই কড়া নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর, একরকম বাধ্য হয়েই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ শুরু করে শিক্ষা পর্ষদ।