বাংলা হান্ট ডেস্ক : শনিবার সরকার গঠন করার ঠিক চার দিনের মাথায় অর্থা মঙ্গলবার দুপুরে এক এক করে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং তার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন। যদিও আগে থেকেই সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল এনসিপি বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে কিন্তু হঠাতে শনিবার সকালে ছন্দপতন,সব ঠিক থাকলেও বিজেপির তরফে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
ব্যাস তারপর থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবারও নতুন নাটকের শুরু হয়। বিরোধী তিন দল দেবেন্দ্রকে সড়ানোর জন্য একেবারে ওঠে পড়ে লাগে। আশা ভঙঅগ হওয়ায় দেশএর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থও হয় বিজেপি এনসিপি শিবসেনা। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট করার ঘোষনা করার পরেই আস্তে আস্তে ভোল বদল। তবে অজিত ও দেবেন্দ্র সরে যাওয়ার পর এবার মহারাষ্ট্রে নতুন নায়ক হিসেবে উঠে এলেন উদ্ভব ঠাকরে। তাই তো এনসিপি কংগ্রেসকে নিয়ে আবারও সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছে বাল ঠাকরের পরিবারের সদস্য।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি।তাই সব ঠিক থাকলে বুধবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে শপথ গ্রহণ করতে পারেন বলে খবর। তার আগে তিন দলের কয়েক দফা বৈঠকও হয়। তবে উদ্ভব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হলে কংগ্রেস আ এনসিপির তরফে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে আগের মতোই উদ্ভবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে সমর্থন জানিযেছে সনিয়া ও শরদরা।
এমনিতেই অজিত পাওয়ারের ইস্তফা দেওয়ার পরে দেবেন্দ্রর ইস্তফার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল তাই বিরোধীরাঅনেকেই উদ্ভবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। উল্লেখ্য মঙ্লবার সুপ্রিম কোর্টের রায় দানের পর থেকেই আস্তে আস্তে বিরোধীরা জয়ের ব্যাপারে 100 শতাংশ নিশ্চয়তা র দাবি রাখে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আস্থা ভোট গঠন করা হলে আস্থা ভোটে জয় লাভ করবেই তাঁরা এমনটাই এক বাক্যে বলে ওঠে বিরোধীরা। অবশেষে খানিকটা হলেও তাঁদের আশা যে পূর্ণ হল তা বলাই যায়।