বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার পর এবার চীনের বিরুদ্ধে মুখর হল ব্রিটেন (United Kingdom)। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে আমেরিকার পর এবার চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল ব্রিটেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এই মারণ রোগের প্রকোপে পড়েছিলেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তাই এবার চীনের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। তারা চাইছে উচ্চ প্রযুক্তি ও কৌশলগত শিল্পে চীনা বিনিয়োগ বন্ধ করতে। তাঁদেরও দাবী চীনের এই ভাইরাসের বিষয়ে গোপন রাখায় ব্রিটেন বর্তমানে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
এই মুহুর্তে চীন দাবী করছে তারা এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই সামলে নিয়েছে। কিন্তু লকডাউন তুলে নেওয়ার পর চীনে আবারও এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনে এখন এই ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের বক্তব্য, তারা এখন লন্ডন-বেইজিং সম্পর্ককে পুনর্বিবেচনা করবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা ভাববে।
ব্রিটেন থেকে চীনের ডিজিটাল যোগাযোগ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উচ্চ-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি নিষিদ্ধ করছে। এই মুহূর্তে চীনের যেসমস্ত শিক্ষার্থীরা ব্রিটেনে শিক্ষার প্রয়োজনে রয়েছে, এরপর ব্রিটেন সরকার তাঁদের আর শিক্ষা দেবে কিনা তা নিয়ে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে।
আবার, করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা গোপন করছে চীন, এমনটাও দাবী করেছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস, সংসদের নেতা জ্যাকব রিস-মগও চীনের দিকে এখন সন্দেহের দৃষ্টি দিয়েছে। তবে এখন চীনের সঙ্গে ব্যবসা তাঁদের কোনপথে যাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।