বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার বাঘাযতীন (Baghajatin) এলাকার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে আচমকাই হেলে পড়েছিল একটি বহুতল। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় গোটা রাজ্য। ২০১২ সালে তৈরি এই চারতলা বাড়িটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন প্রোমোটার সুভাষ রায়। বেআইনিভাবে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বকখালীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাঘাযতীনের (Baghajatin) ঘটনার পর বাড়ি তৈরির নিয়ম নিয়ে এল বিরাট নির্দেশ
বাঘাযতীনের (Baghajatin) এই বহুতল ধ্বসে যাওয়ার ঘটনায় রাতারাতি মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছেন আটটি পরিবার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এবার বাঘা যতীনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বাড়ির ‘জ্যাকিং আপ’ নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তর। বাড়ির জ্যাকিং আপ করতে পুরসভা থেকে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর পুরসভা থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেখানে বাড়ি তৈরি করা হবে সেখানে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে হবে। একমাত্র পুরসভা সন্তোষজনক রিপোর্ট দিলে তবেই বাড়ি তৈরীর কাজে হাত দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ফাঁসি! RG Kar আবহেই গুড়াপের ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল আদালত
নির্দেশে আরও বলা হয়েছে একজন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে কাজ করা হবে। তাঁর দেওয়া রিপোর্টকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি যে সংস্থা কাজ করবে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকতে হবে। তাই যেখানেই বিনা অনুমতিতে কাজ হবে সেখানেই কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।
বাঘাযতীন (Baghajatin) এলাকার এই বহুতল ভেঙে পড়ার পিছনে উঠে আসতে শুরু করেছে একাধিক কারণ। অভিযোগ করা হচ্ছে নিয়ম ভেঙে জলা জমির উপর বহুতল নির্মাণ করার কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে। শুধু তাই নয় পুরসভা কে না জানিয়ে হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে ওই বহুতল সোজা করার কাজ করাচ্ছিলেন ওই প্রোমোটার। তবে বাঘা যতীনের এই ঘটনার পরেই প্রশাসনের তরফে বাড়ি তৈরি ও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে পুরসভা ও রাজ্য পুর নগরোন্নয়ন দপ্তর।