বাংলাহান্ট ডেস্ক: মৃত্যু মিছিল যেন থামছেই না টলিপাড়ায়। উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha Dey Majumder) মৃত্যু্র পর একদিন কাটতে না কাটতেই আবারো মৃত্যুর খবর টলিপাড়ায়। প্রয়াত বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ।
খবর বলছে, প্রয়াত বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। শুক্রবার তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার মতোই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি সত্ত্বেও না খোলায় দরজা ভেঙে ঢোকা হয় ভেতরে। তারপরেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন মঞ্জুষা। তিনি বিবাহিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর স্বামী শ্বশুরবাড়িতে ফেরত নিতে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন। তখনি যেতে রাজি না হয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন মঞ্জুষা। অভিনেত্রীর মা জানান, মেয়ে হুমকি দিয়েছিল বিদিশার মতো কাণ্ড ঘটাবে।
কিন্তু মেয়ে যে সত্যিই এমন কিছু ঘটাতে পারেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁর মা। তিনি জানান, জামাইকে বলেছিলেন মঞ্জুষাকে কিছুদিন বাপের বাড়িতেই থাকতে দিতে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আরো জানিয়েছেন, মঞ্জুষার স্বামী কখনোই বাধা দেননি তাঁর কাজে।
শুধু মঞ্জুষা অতিরিক্ত ডায়েট করায় বলতেন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতে। মেয়ের জন্য তাঁর প্রিয় চিংড়ি মাছও নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা। কিন্তু শেষ খাওয়াটুকুও খাওয়াতে পারলেন না মেয়েকে। এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মঞ্জুষার মা। বিদিশার পাশাপাশি অভিনেত্রী পল্লবী দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু দুটো মৃত্যুর প্রভাব পড়েছিল তাঁর উপরে।
অন্যদিকে বিদিশার মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এসেছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের দিক। বিদিশার বান্ধবী দিয়া জানিয়েছেন গত পাঁচ মাস ধরে নাকি অনুভব বেরা নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হত। এমনকি মৃত্যুর আগের দিনও কথা হয়েছিল দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে। সংবাদ মাধ্যমকে সেই কথোপকথন দেখিয়েছেন দিয়া।
সেখানে বিদিশা লিখেছিলেন, প্রেমিক অনুভবকে তিনি খুব ভালবাসেন। তাঁকে ছাড়া বাঁচবেন না। এদিকে দিয়ার দাবি, অনুভবের নাকি একাধিক সম্পর্ক ছিল। আর সেকথা জানার পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বিদিশা।