বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দলে (Indian Cricket Team) সুযোগ পাওয়ার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার এর কোন অভাব নেই দেশে। এই কারণেই ভারত বর্তমানে ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। তাই অনেক ক্রিকেটারই এমন আছেন যারা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কেরিয়ারের শুরুর দিকে দেশেই ক্রিকেট খেলেছিলেন, কিন্তু প্রতিযোগিতার ভয়ে পরে ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে যান। আবার এমন অনেক ক্রিকেটারও আছেন যারা ভারতে জন্মেছেন কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে শুরুতেই অন্য দেশে চলে গেছেন যেখানে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম।
আজ এমনই এক ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন, যিনি অনেক চেষ্টা করেও, বিসিসিআইয়ের (Board of Control for Cricket in India) নজরে আসতে পারেন নি। যার কারণে তিনি ভারত ছেড়ে অন্য দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং এখন বিশ্বকাপে তার নামের পাশে রয়েছে একটি দুর্দান্ত রেকর্ড। তাঁর এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে বার্তা দিয়েছেন যে ভারতের বাইরেও ভারতীয় প্রতিভারা নিজেদের বিকাশে সক্ষম।
এখানে যে ক্রিকেটারের নাম আলোচিত হচ্ছে তিনি হলেন কার্তিক মাইয়াপ্পান (Palaniapan Meiyappan)। ২২ বছর বয়সী এই লেগ-স্পিনার সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী ক্রিকেট দলের অংশ। সেখানে গিয়ে নিজের স্পিনের ভেলকিতে তিনি একাধিক তারকাকে নাস্তানাবুদ করেছেন। এই কথাটি বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে না যে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী ক্রিকেট দল তার মত ক্রিকেটারদের জন্যই ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারছে।
কার্তিক মাইয়াপ্পানের জন্ম চেন্নাইয়ে। কিন্তু তিনি নিজের শৈশব কাটিয়েছেন দুবাইতে। ২০১২ সালে, তার গোটা পরিবার পাকাপাকিভাবে দুবাইতে চলে আসে। একজন সাধারণ ভারতীয় পরিবারের ছেলের মতোই ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। কিন্তু ভারতে কোনদিনও সুযোগ পাননি তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মাটিতে সেই কাজটা সহজ হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে আমেরিকার বিরুদ্ধে তার ওয়ান ডে অভিষেক ঘটে এবং ২০২১ সালে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা আরম্ভ হওয়ার আগে অবধি তিনি ২৫টি ওয়ান ডে খেলে ৩৬টি উইকেট নিয়েছেন। এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন।
গোটা বিশ্ব তার প্রতিভার পরিচয় পেয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা বনাম সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ম্যাচে। তিনি দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এবং বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়াপ্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী বোলার হয়েছিলেন। এই কারণেই আগামী দিনে তাঁর ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।