বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী সুস্মিতা দে (Susmita Dey)। তবে ছোটপর্দার দর্শকদের কাছে তিনি স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘কথা’ (Kotha) সিরিয়ালের নায়িকা কথা নামেই বেশি জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে প্রধান নায়ক ‘এভি’র চরিত্রে অভিনয় করছেন টলিপাড়ার হ্যান্ডসাম হিরো সাহেব ভট্টাচার্য।
ব্রেকআপের পরেই রোম্যান্টিক দৃশ্য কীভাবে করতেন সুস্মিতা দে (Susmita Dey)?
ব্যক্তিগত জীবনে সদ্য সম্পর্ক ভেঙেছে অভিনেত্রীর (Susmita Dey)। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আচমকা এভাবে ভেঙে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বড় পরিবর্তন এসেছে অভিনেত্রীর জীবনে। কিন্তু ব্রেকআপের পরেও এই ধারাবাহিকে সুস্মিতাকে (Susmita Dey) অভিনয় করতে হয়েছে বেশ কিছু রোমান্টিক দৃশ্যে।
কিন্তু সদ্য ব্রেকআপের পরেই এমন দৃশ্যে অভিনয় করার অনুভূতিটা ঠিক কেমন ছিল তাঁর? সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনেরই এমন নানান অজানা কথা নিয়ে এই সময় ডিজিটালের মুখোমুখি হয়েছিলেন পর্দার কথা। সিরিয়ালের শুটিং-এর তুমুল ব্যস্ততার ফাঁকেই এদিন সুস্মিতার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল ব্রেকআপের পরেই এমন রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং করার অনুভূতি কেমন?
আরও পড়ুন : স্বপ্ন নয় সত্যি! জেঠিকে রেঁধে খাওয়াচ্ছে ‘ধ্যাষ্টামো’ জেঠু, পর্ণার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক
একজন শিল্পী হিসাবে জীবনের এই দিকটা কিভাবে সামলাচ্ছেন তিনি ? প্রথমে খানিকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন নায়িকা। তারপর হাসিমুখেই নায়িকা জানান প্রথম দিকে তাঁর বেশ অসুবিধাই হয়েছিল।
তবে সিরিয়ালের শুটিং ফ্লোরে সেটে ঢুকলে তিনি সোজা চরিত্রে ঢুকে পড়েন। অর্থৎ সুস্মিতা থেকে হয়ে যান কথা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি বহুবার পড়েছি। তবে ‘কথা’ সিরিয়ালে সাহেবদার সঙ্গে সিন করতে গেলে আমি সব ভুলে যাই আমার ভিতরে কী চলছে। সিনগুলো আমাদের অত ভালো হয়, গোটা ইউনিট এত উচ্ছ্বল থাকে যে, ব্যক্তিগত কোনও কিছুই ভাবার সময় থাকে না তখন।’
প্রসঙ্গত একটা সময় কথা সিরিয়ালের নায়ক সাহেব ভট্টচার্যের সাথেও প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সত্যিই কি তাই? জবাবে হাসিমুখেই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘সাহেবদা খুব ভালো সহ-অভিনেতা। সেইসাথে ভীষণ ভালো মানুষ। আমার কোনও সিন করতে অসুবিধা হলে নিজে থেকেই বুঝতে পারে। তাই নিজেই জিজ্ঞাসা করে আবার কোথাও অসুবিধা হলে আমায় গাইড-ও করে দেয়। এত সাপোর্টের পর জড়তা কীভাবে থাকবে বলুন? আমি মন খারাপ করে থাকলেও বুঝতে পারেন আমার সহকর্মীরা। আমায় উৎসাহ দেন প্রত্যেকে।’